সিলেটে নাট্য উৎসবে মঞ্চস্থ হলো ‘সাত কন্যার কাহান’

সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদ প্রতিষ্ঠার ৩২ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসব হয়ে গেল নগরীতে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2016, 06:34 PM
Updated : 23 Sept 2016, 06:34 PM

নগরীর রিকাবিবাজারে কবি নজরুল মিলনায়তনে বৃহস্পতি থেকে শনিবার এ নাট্য উৎসব হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, উদ্বোধনী দিনে মঞ্চস্থ হয় নাটক ‘উজানে মৃত্যু’ এবং সমাপ্তি ঘটে ‘সুখের খোঁজে সুখলাল’ মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে।

দ্বিতীয় দিনে মঞ্চস্থ হয় নবশিখা নাট্যদলের নাটক ‘সাত কন্যার কাহান’।

সিলেটি নাগরি ভাষায় রচিত কবি সৈয়দ শাহনূর রচিত ‘সাত কন্যার বাখান’র আলোকে নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন রুমা মোদক। নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন সুশান্ত কুমার সরকার।

নাটকে কবি হস্তিনী, শঙ্খিনী, নাগিনী, কাংকুনি, কিংকুনী, চিন্তনী, পদ্মিনী- সাতটি ভিন্ন নামে নারী চরিত্রের বর্ণনা উঠে এসেছে।

নাটকটি নিয়ে নির্দেশক সুশান্ত বলেন, “আমাদের সমাজে আদিকাল থেকেই নারী নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। এই নারী কখনো মায়াবতী, কখনো ছলনাময়ী, কখনো মমতাময়ী মা কিংবা সময়ের প্রয়োজনে মহিষাসুর মর্দিনী। আর্থসামাজিক বাস্তবতায় পারিবারিক ক্ষেত্রে একজন পুরুষের চেয়ে একজন নারীর অবদান অনেক গুণ বেশি।

“পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারী জীবনের উদ্দেশ্যই থাকে পারস্পরিক ভালোবাসায় পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করা। কিন্তু সমাজের বিভিন্ন গতিধারায় অনেক নির্মম বাস্তবতাকে তাদের মোকাবেলা করতে হয়, যার প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে ‘সাত কন্যার কাহান’।

“আর এই নাটকে যে সমস্ত কুশীলব অভিনয় করেছেন তাদের ব্যক্তিগত জীবন আমাদের নাটকে আলোচিত নারী চরিত্রকেও যেন হার মানায়। আসলে আমাদের অনেকরই ব্যক্তিক জীবন নাটক, গল্প বা উপন্যাসকেও অনেক ক্ষেত্রে ছাপিয়ে যায়।

“তবুও শেষ পর্যন্ত আমরা সমস্ত প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে বীর দর্পে তৃপ্তির হাসি হাসতে পারি। আর এ কারণেই বোধয় জীবনটা এত সুন্দর। নাটকটি আমাদেরকে সেই শিক্ষাই দেয়।”