সম্প্রতি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকার এর সাথে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকে এক ‘লাইভ চ্যাট’ এসব কথা বলেন কারিনা।
তিনি বলেন, “আমি করলা খাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে আছি। করলা’র তেতো স্বাদ আমার অনেক পছন্দ। এটাতে প্রচুর পরিমানে লৌহ আছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। লাঞ্চে আমি লাউ ও মটরশুঁটির তরকারি খেয়েছি।”
স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে বেশ সচেতন হলেও কারিনা যে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাচ্ছেননা, তা কিন্তু নয়।
তিনি নিজেই এ বিষয়ে বলেন, “আমার অনেক বেশি ভারতীয় মিষ্টি আর ঘরে বানানো মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করে। যেমনঃ সুজি দিয়ে বানানো পেডা, বেসনের লাড্ডু। আমি চেষ্টা করছি এটাকেও একটা নির্দিষ্ট পরিমানের মধ্যে রাখার।”
এতো কিছুর পরও মোটেও প্রয়োজনের অতিরক্ত খান না কারিনা।
“শুধুমাত্র আপনার পেটের মধ্যে আরেকটি মানুষ আছে- তার মানে এই না যে আপনি চাইলেই একসাথে ২০ টি রুটি খেয়ে ফেলতে পারেন। স্বভাবসুলভ খাওয়া স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়া গর্ভকালীন সময়েও চালিয়ে যেতে পারলে ওজন বাড়া কিংবা শরীরের আকৃতি পরিবর্তন হওয়ার মতো ঘটনা আপনার সাথে কখনোই ঘটবেনা। সেটাই করুন যেটা বিগত ১০ বছর ধরে করে আসছেন।”
অবশ্য কারিনার এই তত্ত্ব যে নিজের বেলায় ঠিকঠাক কাজ করছে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি হেঁটেছেন র্যাম্প এ, বিজ্ঞাপনের শুটিং করেছেন এবং বারবার ফিরে এসেছেন ভক্ত-দর্শকদের সামনে। শিগগিরই আবার তিনি শুটিং শুরু করবেন তার পরবর্তী সিনেমা ‘ভীরে দি ওয়েডিং’ এর।
একসময় ‘সাইজ জিরো’কে ভারতবর্ষজুড়ে জনপ্রিয় করে তোলা এই ‘থ্রি ইডিয়টস’ অভিনেত্রীর দুশ্চিন্তা নেই সিনেমায় তাকে কেমন দেখাবে সে নিয়েও।
“আমি সিক্স প্যাক অ্যাবস বানানো কিংবা খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার কোন চিন্তা করছিনা। আমার খাবার সময়টা অসাধারণ। আমি সেটাই খাই যা আমার ভালো লাগে, আমার আলু পছন্দ, ফুলকপির পরোটা পছন্দ, ভালো লাগে চটপটি, ছোলা ভাটোরা (এখ ধরণের ভারতীয় খাবার) থেকে শুরু করে পিজ্জা, চাইনিজও”, বললেন কারিনা।
এই ডিসেম্বরেই পৃথিবীর আলো দেখবে কারিনা আর সাইফ আলি খান জুটির প্রথম সন্তান।