‘জোলি আমাদের জীবনকে নরক বানিয়ে ছেড়েছে’

প্রায় এক যুগের সম্পর্কের অবসান ঘটতে চলেছে হলিউডের জনপ্রিয় জুটি অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিটের। জোলির তরফ থেকে নেওয়া  বিচ্ছেদের এ সিদ্ধান্তকে ‘খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলেই দাবি করছেন পিট।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2016, 10:14 AM
Updated : 22 Sept 2016, 06:19 AM

বিচ্ছেদ চেয়ে জোলির করা আবেদনের এক ঘন্টার মাথায় এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতির কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জি’ খ্যাত এই অভিনেতা।

পিপল’স ম্যাগাজিনকে দেওয়া সেই লিখিত বক্তব্যে পিট বলেন, “এই ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত। তবে এই মুহূর্তে আমাদের ছয় সন্তানের দেখভালের বিষয়টিই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি গণমাধ্যমকে অনুরোধ করবো, আমার সন্তানদের এই কঠিন সময়টা পার করতে দিন, তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।”

এদিকে টিএমজি বলছে জোলির বিচ্ছেদের এই সিদ্ধান্তে তার উপর খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছেন পিট। তিনি বলেছেন, জোলির ‘নাটকীয় সিদ্ধান্তে’ এ মুহূর্তে তাদের সন্তানদের জীবন ‘রীতিমতো হুমকি’র মুখে। তাদের বাড়ির চারপাশে এখন পাপ্পারাজিরা ভিড় করে আছে।

পিট-এর ভাষ্যে, পুরো ঘটনায় তাদের সন্তানেরা মানসিকভাবে খুবই ভেঙে পড়েছে। এমন সিন্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের দিকটাও জোলির ভেবে দেখা উচিৎ ছিলে।

পিটকে উদ্ধৃত করে টিমজি বলেছে, “জোলি আমাদের জীবনকে নরকে পরিণত করে দিয়েছে।’’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানা যায়, এক যুগের সম্পর্ক এবং দুই বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটাতে ব্র্যাড পিট-এর কাছ থেকে বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।

জোলির আইনজীবী জানান, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকেই আলাদা বাস করছেন তারা। শুরু থেকেই জোলির সাথে সমঝোতার চেষ্টা করে আসছেন পিট। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন জোলি। এমনকি ছয় সন্তানকে নিজের কাছে রাখার বিষয়টি নিয়েও পিটের সঙ্গে কোনো আপসে যেতে রাজি হননি তিনি।

এই দম্পতির ছয় সন্তানের মধ্যে সবার বড় ১৫ বছর বয়সী ম্যডক্স. কম্বোডিয়া থেকে যাকে দত্তক নিয়েছিলেন জোলি। দ্বিতীয় সন্তান জাহারা (১১), তাকে ইথিওপিয়া থেকে দত্তক নেয়া হয়। তৃতীয় সন্তান শিলোহ, পিটের ঔরসে জোলির প্রথম গর্ভজাত সন্তান সে। চতুর্থ প্যাক্স (১২), যাকে ভিয়েতনাম থেকে দত্তক নেয়া হয়।  জোলির গর্ভে জন্ম নেয়া এ জুটির যমজ ছেলে-মেয়ে নক্স ও ভিভিয়েন (৮) ।

হলিউডের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই তারকা জুটি ২০০৫ সালে ‘মিস্টার এন্ড মিসেস স্মিথ’ ছবির সেটে প্রথম পরিচিত হন। এরপর থেকে একসঙ্গে থাকতেন তারা। পরবর্তীতে তারা বিয়ে করেন ২০১৪ সালের অগাস্টে।