জেলে যাওয়ার আগে নিজের ইন্সটাগ্রামে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ নাকচ করেছেন ব্রাউন। তিনি দাবি করেন ঘুম থেকে উঠেই বাড়ির আশেপাশে পুলিশ দেখে ‘চমকে গেছেন’ তিনি! এরপর তাকে ‘কারন ছাড়া’ই ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশে পক্ষ থেকে জানানো হয়, এক নারীর অভিযোগ পেয়েই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, পেশাদারী কাজের জন্য ব্রাউনের কাছে যান ওই নারী। কিন্তু এ সময় উত্তেজিত হয়ে ব্রাউন তাকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং এক পর্যায়ে তাদের দিকে বন্দুক তাক করে হুমকি দেন।
ব্রাউনকে এই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট ক্রিস রামিরেজ, “অস্ত্র রাখার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছি আমরা। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এবং বাকি পদক্ষেপও নেয়া হবে।”
এবিষয়ে ‘তদন্তের স্বার্থে’ আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি রামিরেজ।
সার্চ ওয়ারেন্ট পাওয়ার পরেই রাত ৩ তার দিকে তার বাড়ি ঘেরাও করে পুলিশ।
ঘটনায় ক্ষুদ্ধ ব্রাউন ইন্সটাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেন, “পুরো রাত আমি ঘুমাতে পারিনি। উঠেই দেখি এসব! হেলিকপ্টার, পুলিশের গাড়ি দিয়ে আমার বাসা ঘেরাও করা হয়েছে। আমি ভুল কিছুই করিনি। তাই নিজেই নিজেকে এই অবস্থা থেকে বের করবো। আমার সম্মান নিয়েই এখন চিন্তিত আমি আমি, এছাড়া আর কিছুই এখন ভাবছিনা।”
তিনি আরও বলেন, “কে কি ভাবলো এটা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। তারা ভেতরে এসে দেখুক, কিছুই পাবেনা।”
২০০৯ সালে নিজের তৎকালীন প্রেমিকা রিহানাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অপরাধে শাস্তি পেতে হয়েছিল ব্রাউনকে। ২০১৫ সালে পুনর্বাসন শেষে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন এই গায়ক।