মহাশ্বেতা দেবীর প্রয়াণে তারকাদের শোক

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকা কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী বৃহস্পতিবার সিটি নার্সিং হোম এ চিকিৎসারত অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। র‌্যমন-ম্যাগসেসে পুরস্কারজয়ী এই লেখিকার মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে ভারতের চলচ্চিত্র অঙ্গনেও।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2016, 08:43 AM
Updated : 29 July 2016, 08:43 AM

টালিগঞ্জের প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি থেকে শুরু করে বলিউডের নির্মাতা মহেশ ভাট, মাধুর ভান্ডারকার- মহাশ্বেতা দেবীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সবাই।

“আমাদের জন্য এটা একটা কালো দিবস। অসাধারণ লেখিকা, যার বই পড়ে আমরা বড় হয়েছি সেই মহাশ্বেতা দেবি আজ বিকেল ৩ টা ১৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেছেন। শান্তিতে বিশ্রাম করুন”, এক টুইটার বার্তায় এমনটিই লিখেছেন প্রসেনজিৎ।

বলিউডের নির্মাতা মহেশ ভাট তার টুইটারে লিখেন, “ সম্ভ্রান্তদের নাকোচ করে দিয়ে, চিরকাল যিনি হেঁটেছেন দূর্বলদের সাথে সেই মহাশ্বেতা দেবী তাঁর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন কলকাতায়। কি অসাধারণ এক জীবনই না ছিলো!”

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে আরেক লেখিকা শোভা দে বলেন, “মাহাশ্বেতা দেবি, আপনি চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আপনার লেখা প্রতিটা শব্দ অনূপ্রেরণা হয়ে থাকবে ভারতীয় নারীদের। শান্তিতে বিশ্রাম করুন।”

‘চাঁদনি বার’, ‘ফ্যাশন’-এর মতো আলোচিত সিনেমার নির্মাতা মাধুর ভান্ডারকার টুইট করেন, “ পদ্ম ভূষণ মহাশ্বেতা দেবীর মৃত্যুর খবর শুনে খারাপ লাগছে অনেক। সাহিত্য জগতে তাঁর অবদান চির স্মরনীয় হয়ে থাকবে।”

অভিনেতা রাহুল বোস তার মৃত্যুকে অভিহিত করেছেন ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ হিসেবে। তিনি বলেন, “ মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গে দেখা হলে আপনি আসক্ত হয়ে যাবেন তার নীতি আর সাহসে। আর তার লেখার কথা কি আর বলবো!”

সিনেমার সাথে মহাশ্বেতা দেবি সম্পর্ক ছিলো কাছের। বেশ কয় বছর ধরে তাঁর অনেক গল্প রূপান্তরিত হয়েছে সিনেমায়। যার মধ্যে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী ‘হাজার চৌরাশি কি মা’ এবং ‘রুদালি’ অন্যতম।

১৯২৬ সালে ঢাকায় জন্ম গ্রহণ করেন মহাশ্বেতা দেবী। লেখক পরিবারে জন্ম নেওয়া এই লেখিকার পিতা-মাতাও ছিলেন লেখিকা। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটক ছিলেন তার চাচা।

১৯৫৬ সালে ‘ঝাঁসির রানী’ প্রকাশ করার মাধ্যেম সাহিত্য জগতে আবির্ভাব ঘটে এই নারীবাদী লেখিকার। সবমিলিয়ে প্রায় ১০০ টি উপন্যাস এবং ২০ টির ও বেশি ছোট গল্প রচনা করে গেছেন তিনি। মূলত বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনা করলেও, তার অনেক লেখা অনূদিত হয়েছে ইংরেজি সহ বেশ কয়েকটি ভাষায়। ভারতের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যতালিকায়ও স্থান পেয়েছে তার লেখা।