স্পেকট্রাম ধস নিয়ে প্রাচ্যনাটের নাটক ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’

সাভারের স্পেকট্রাম সোয়েটার অ্যান্ড নিটিং ফ্যাক্টরি ধসের মর্মান্তিক কাহিনি নিয়ে নাট্যদল প্রাচ্যনাট মঞ্চে এনেছে নাটক ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি।’

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2016, 03:01 PM
Updated : 25 July 2016, 03:01 PM

প্রাচ্যনাটের ৩০তম প্রযোজনাটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে।

নাটকের নির্দেশক আজাদ আবুল কালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নয়তলা কংক্রিট ধসে পড়া আদতে লোভী, কুৎসিত কিছু অর্থান্বেষী মানুষের বিপরীতে কিছু মানুষের স্বপ্নের অন্তিম যাত্রার প্রতীক হয়। অপূর্ণ সেই স্বপ্ন ধরার চেষ্টা ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’ - কী রচনা কী নির্মাণে।”

‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’কে রচনা ও নির্মাণে অপূর্ণ সেই স্বপ্ন ধরার চেষ্টা বলে মন্তব্য করেন নাটকটির এই নির্দেশক।

আজাদ আবুল কালাম জানান, ‘তারাভান’ চরিত্রের মাধ্যমে ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’ নাটকে চিত্রিত হয়েছে সেই কালোরাত্রির ঘটনাচিত্র। এই চরিত্রে বিমূর্ত হয়ে উঠে সেদিনের নাইট শিফটে কাজ করতে আসা কর্মীদের প্রতিচ্ছবি। নাটকটি গ্রন্থিত হয় তার স্মৃতিচক্র, স্বপ্নচক্র আর জীবনচক্রের রোমন্থনে।

যেকোনো সময় মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়ে পিষে দেবে তার জীবন, এমনকি তার নড়ার উপায়টুকুও নেই। এরকম অবস্থায় তারাভান যেন তার সমগ্র জীবনের পাওয়া-না পাওয়ার একপ্রকার হিসেব মিলিয়ে নেয়।

সেই হিসেব প্রতিনিধিত্ব করে তারই মতো শত শত তারাভানের, যাদের অনেকেই এভাবে মরে যায়, আবার কেউ কেউ বেঁচে থাকে কারখানার মেশিনের মতো নির্বাক আজ্ঞাবহ হয়ে, দাস হয়ে।

তারাভানের স্মৃতিচক্রের সমান্তরালে একই ঘটনাকে দেখা যায় একজন ভিনদেশি আউটসোর্সিং পারসন মিস্টার ওয়েস্ট এর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। এই আকস্মিক ঘটনায় তার প্রতিক্রিয়া বিশ্বমঞ্চে যেসব চিত্র তুলে ধরে সেগুলো তারাভানরা কখনও জানে না, কিংবা জানার সুযোগ পায় না।

দ্রুত গতিতে টাকা কামানোর ‘মনস্তত্বসর্বস্ব বেনিয়াকুলের’ বিপক্ষে নাটকে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

২০০৫ সালের ১১ এপ্রিল গভীর রাতে সাভারের পলাশবাড়িতে ধসে পড়ে স্পেকট্রাম সোয়েটার অ্যান্ড নিটিং ফ্যাক্টরি। সে সময় ফ্যাক্টরিতে রাতের শিফটে কাজ করছিলেন শতাধিক কর্মী। সেই ঘটনায় নিহত হয় প্রায় ৬৪ জন।