রাজধানীর মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে শুক্রবার সন্ধ্যায় বসেছিল ‘বাংলা গান’র চূড়ান্ত আসরটি।
পুরস্কার হিসেবে ঝলমলে মুকুটের পাশাপাশি শারমীনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পুরস্কারের অর্থমূল্য দশ লাখ টাকার চেক।
প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ মো. খায়রুল ইসলাম (ফরিদপুর) পেয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা।
যৌথভাবে দ্বিতীয় রানারআপ অনন্যা ইয়াসমিন অংকন (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) ও আল-আমিন আলী (রাজশাহী) পেয়েছেন তিন লাখ টাকা।
প্রতিযোগিতায় ইউনিভার্সাল ফুড লিমিটেডের সৌজন্যে ‘স্বর্ণালী কণ্ঠ’র জন্য ইলমা বিনতে বখতেয়ার (চট্টগ্রাম), ‘আলোকিত শিল্পী’র জন্য বিল্লাল হোসেন (ফরিদপুর) এবং ‘উজ্জ্বল তারকা’র হিসেবে নাজমুল হাসান (ফরিদপুর) এক লাখ টাকা করে পেয়েছেন।
চূড়ান্ত আসরে বিচারকদের সঙ্গে গাওয়া সেরা-৭ এর একটি সিডির মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। এটি প্রকাশ করেছে ইমপ্রেস অডিও ভিশন।
সারা দেশ থেকে এবারের আসরে অংশ নিয়েছিল প্রায় ৬০ হাজার প্রতিযোগী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, “আসরের সেরা সাত প্রতিযোগী গানের মাধ্যমে সারাবিশ্বে বাংলার লোক সংস্কৃতিকে পোঁছে দেবে।”
ব্র্যাকের চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেন, “কর্মময় নাগরিক জীবনের এত ব্যস্ততা সত্ত্বেও এখানে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে অনুষ্ঠানটি কত জনপ্রিয় হয়েছে।”
আড়ং ডেইরি ও চ্যানেল আই-এর যৌথ উদ্যোগটি গ্রামীণ লোক সংগীতের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
এর আগে তিনি শাহ আবদুল করিমের ‘কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু’ গানটি গেয়ে শোনান।
‘সেই তুমি’ গান পরিবেশনার মাধ্যমে মঞ্চে আসেন ব্যান্ডতারকা আইয়ুব বাচ্চু।
আসরের সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশের ১২ জন বাউলশিল্পী সুফি গান পরিবেশন করেন।
তারপর শুরু হয় সেরা সাত প্রতিযোগীর পরিবেশনা। তারা একসঙ্গে গেয়ে শোনান শিল্পী আবদুল আলিমের গান ‘এই যে দুনিয়া কিসেরও লাগিয়া...’।
আসরের অতিথি ‘ফোক সম্রাজ্ঞী’ মমতাজ পরিবেশন করেন হাসন রাজার ‘সোনা বন্ধে আমারে...’ গানটি।
পরে তিনি অতিথি বিচারকের আসনে বসেন। আসরে এসেছিলেন কিংবদন্তী শিল্পী রুনা লায়লাও। তিনি পরিবেশন করেন চারটি জনপ্রিয় গান।