চলে গেলেন গ্যারি মার্শাল

খ্যাতনামা মার্কিন নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক গ্যারি মার্শাল আর নেই। মঙ্গলবার ৮১ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ‘প্রিটি ওম্যান’ খ্যাত এই নির্মাতা। তার বোন অভিনেত্রী ও নির্মাতা পেরি মার্শাল তার খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

গ্লিটজ ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2016, 11:05 AM
Updated : 20 July 2016, 11:05 AM

পিপল ডটকমের বরাতে জানা যায়, প্রথমে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ও পরে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে মার্শাল মারা গেছেন লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি হাসপাতালে।

মার্শালের পরিবারের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “তিনি গল্প বলতে পছন্দ করতেন, মানুষকে হাসাতে পছন্দ করতেন। সফটবল খেলতেও দারুণ ভালবাসতেন তিনি, একই সঙ্গে চ্যাম্পিয়নশিপ জিততেও। ৮১ বছর বয়সেও তিনি এইবার ৬-১ এ জিতেছিলেন!”

আগামী ১৩ নভেম্বর তার জন্মদিন উপলক্ষে একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। ভক্তদের অনুরধ করা হয়েছে,তারা যেনো ফুলের বদলে স্যাবান কমিউনিটি ক্লিনিক, সেইন্টজোসেফ মেডিকেল সেন্টারের নিবিড় পরিচর‌্যা কেন্দ্র এবং নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়য়ে তাদের অর্থ দান করেন।

১৯৩৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জন্মগ্রহন করেন গ্যারি মার্শাল। নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক শেষ করে তিনি রম্যলেখক হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন।

এছাড়াও, ষাটের দশকের শুরুতেই বিনোদন জগতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তিনি। জেরি বেলসনের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘দ্য ডিক ভ্য্ন ডাইক শো’, ‘দ্য জোয়ি বিশপ শো’-এর মতো বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান তৈরি করেন।

‘হেই ল্যান্ডলর্ড’ নামের একটি সিরিজের মাধ্যমে প্রযোজনায় আসেন তিনি। এরপর তিনি তৈরি করেন ‘দ্য অড কাপল’, ‘হ্যাপি ডেইজ’ নামের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজ। তবে তার পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কমেডি সিনেমা ‘ইয়ং ডক্টরস ইন লাভ’ মুক্তি পায় ১৯৮২ সালে।

১৯৯০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রিটি ওম্যান’ সিনেমাটির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপি পরিচিত অর্জন করেন মার্শাল। এই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন জুলিয়া রবার্টস ও রিচার্ড গিয়ার। তার পরিচালিত অন্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘দ্য ফ্ল্যামিংগো কিড’ (১৯৮৪), ‘নাথিং ইন কমন’ (১৯৮৬), ‘বিচেস’ (১৯৮৮), ‘রানঅ্যাওয়ে ব্রাইড’ (১৯৯৯) ও ‘দ্য প্রিন্সেস ডায়েরিজ’ সিরিজ।

স্ত্রী বারবারার সঙ্গে ৫৩ বছরের বিবাহিত জীবনে তিন সন্তানের জনক হয়েছিলেন গ্যারি মার্শাল। ছেলে স্কট, মেয়ে লরি এবং কাথেলিক।ভক্তদের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।