লাকী আখন্দের অবস্থার আরও অবনতি

ফুসফুসে ক্যান্সার আক্রান্ত কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে মাম্মিন্তি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2016, 10:29 AM
Updated : 17 July 2016, 10:29 AM

রোববার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আব্বার শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হয়েছে। চিকিৎসকরা আমাদের কিছু বলছেন না এখনও। আমরা অপেক্ষায় আছি, ভালো কিছু শুনব।”

পিঠ ও কোমরের তীব্র ব্যথার কারণে লাকী আখন্দকে বারডেম হাসপাতাল থেকে শুক্রবার ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানান মাম্মিন্তি।

তবে হাসপাতালটির ঠিক কোথায় কিংবদন্তি এই শিল্পী আছেন- সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তার মেয়ে।

মাম্মিন্তি জানান, লাকী আখন্দকে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে চাইলে তা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে পাঠানো যাবে।

কেউ যেন বেনামে ব্যাংক হিসাব খুলে ‘ফান্ড রাইজিং’ কার্যক্রম না চালায় সে অনুরোধও জানিয়েছেন আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পীর মেয়ে।

                        লাকী আখন্দের ব্যাংক হিসাবের নম্বরগুলো হচ্ছে:

                        ডাচ বাংলা ব্যাংক : ১৬২.১০১.১৩৭৩৫৯

                        উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড : এস বি ১৪৭৬

                        ব্যাংকক ব্যাংক, থাইল্যান্ড : ১১৩.৪.৯১৮৬৮.৭

গত বছর গুরুতর অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন লাকী আখন্দ। তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়েছে।

এরপর ঢাকা থেকে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চি‌কিৎসায় পাঁচ লাখ টাকা অর্থ সহায়তাও দেন।

লাকী আখন্দ একাধারে সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার এবং গীতিকারও।

১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে বের হয় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘লাকী আখন্দ’।

ওই অ্যালবামের বেশ কয়েকটি গান ব্যাপক সাড়া ফেললেও ১৯৮৭ সালে ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের মৃত্যুর পরপর সঙ্গীতাঙ্গন থেকে অনেকটা স্বেচ্ছা নির্বাসনে যান নেন এই গুণী শিল্পী।

মাঝখানে প্রায় এক দশক নীরব থেকে লাকী আখন্দ ১৯৯৮-এ ‘পরিচয় কবে হবে’ ও ‘বিতৃষ্ণা জীবনে আমার’ অ্যালবাম দুটি নিয়ে আবারও ফিরে আসেন শ্রোতাদের মাঝে।

এরপর টেলিভিশনের লাইভ প্রোগ্রামে তাকে দেখা গেছে; মেয়ে মাম্মিন্তিকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার উত্তরসূরী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন দর্শকদের সঙ্গে।