‘খাটের নীচে লুকিয়ে ছোলা খেয়েছিলাম’

পরিবারে ধর্মের অনুশাসন থাকায় শৈশব থেকেই নিয়মিত রোজা রেখে এসেছেন অভিনেতা রিয়াজ। তবে একবার নাকি ইফতারের সময় হবার আগেই লুকিয়ে ছোলা খেয়ে ফেলেছিলেন তিনি। 

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2016, 10:52 AM
Updated : 1 July 2016, 10:52 AM

শৈশবের সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে গ্লিটজকে তিনি বলেন, “অনেক ছোটবেলার কথা। তখন আমার বয়স কত হবে তা এখন মনে নেই। তবে সেই সময়টায় আমি খুবই দুষ্ট ছিলাম। টেবিল ও খাটের নীচে লুকিয়ে থাকাই ছিলো আমার একমাত্র কাজ।”

“তখন থেকেই আমি রোজা রাখতাম। কিন্তু একবার হল কি, ইফতার যখন সাজানো হচ্ছে, তখন টেবিল থেকে ছোলার বাটি নিয়ে খাটের নীচে লুকিয়ে ইফতারের আগেই ইফতার করেছিলাম। এরপর চুপি চুপি মুখ ধুয়ে আবারো ইফতারের টেবিলে সবার সঙ্গে ইফতার করার জন্য বসেছিলাম!”

পরবর্তীতে বড় হয়ে যখন নিয়মিত রোজা রাখা শুরু তখন নাকি শৈশবের কথাগুলো মনে পড়লে খুবই মজা লাগতো রিয়াজের।

তিনি বলেন, “আসলে আমাদের পরিবার খুবই ধর্ম পরায়ণ। তাই ছোটবেলা থেকেই আমাদের সবাইকে নিয়মিত রোজা রাখতেই হতো। তাই একটু বড় হওয়ার পরে শৈশবের কথাগুলো যখনই মনে পড়তো তখন আমি সেই সময়গুলোর কথা ভেবে আমার খুব মজা লাগতো।”

রমজান মাসে সবসময় নিয়মিত রোজা রাখলেও এই বছর শারিরীক অসুস্থতার কারণে রোজা রাখতে পারছেন না রিয়াজ। তবে ঈদের বিভিন্ন নাটকের শুটিংয়ের কারনে রিয়াজকে ইফতারে ঠিকই অংশ নিতে হয়।

তিনি বলেন, “আমার শারিরিক অসুস্থতার কারনে এই বছর আমার রোজা রাখা হচ্ছে না। এছাড়াও আমাকে নিয়ম মেনে খেতে হয়। তবে যদিও রোজা রাখা হচ্ছে না, কিন্তু নাটকের শুটিংয়ের কারনে অনেক সময় শুটিং ইউনিটের সঙ্গেই ইফতার করতে হচ্ছে। তখন আমার পরিবারকে খুবই মিস করা হয়।”

১৯৯৫ সালে দেওয়ান নজরুলের ‘বাংলার নায়ক’ সিনেমায় মুন্না চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় অভিষিক্ত হন রিয়াজ। তবে ১৯৯৭ সালে মহাম্মদ হান্নানের ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’ সিনেমায় অভিনয় তাকে তারকাখ্যাতি এনে দেয়।

হুমায়ুন আহমেদের ‘দুই দুয়ারী’ (২০০০), তৌকির আহমেদের ‘দারুচিনি দ্বীপ’ (২০০৭) এবং চন্দন চৌধুরীর ‘কি যাদু করিলা’ (২০০৮) সিনেমাগুলির জন্য তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে তুলেছেন তিনি।

একসময় শাবনূর ও পূর্ণিমার সঙ্গে জুটি বেঁধে ঢাকাই চলচ্চিত্রকে বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন রিয়াজ। ‘বিয়ের ফুল’, ‘এ বাঁধন যাবেনা ছিঁড়ে’, ‘হৃদয়ের বন্ধন’, ‘শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘মোল্লা বাড়ীর বউ’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’-এর মতো সিনেমার কারণে সেসময় তিনি হয়ে ওঠেন দেশের প্রথম সারির নায়কদের একজন।

২০০৬ সালের সিনেমা ‘হৃদয়ের কথা’ দিয়ে প্রযোজনাতেও নাম লেখান রিয়াজ।

এবারের ঈদে বড়পর্দায় উপস্থিত না থাকলেও রিয়াজকে দেখা যাবে ছোটপর্দায় বেশ কিছু নাটক ও টেলিফিল্মে। এরমধ্যে ‘মন খারাপের দৃশ্যাবলী’তে তিনি অভিনয় করেছেন সাদিয়া ইসলাম মৌ-এর বিপরীতে।