মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে এই হামলা হয়। হামলাকারীরা প্রথমে গুলিবর্ষণ করে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, হৃত্বিক তার দুই ছেলে হৃহান আর হৃদানের সঙ্গে আফ্রিকার তাঞ্জানিয়ায় ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। ছুটি শেষে ভারতে ফেরার পথে তুরস্কে তারা যাত্রাবিরতির জন্য অবস্থান করছিলেন। ওই সময়ই এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে পড়েন তারা।
কয়েক ঘণ্টা পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে হৃত্বিক ও তার সন্তানেরা একটি বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে ভারতে ফিরে আসেন।
দেশে ফিরে বিমানবন্দরের কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরেকটি টুইট করেন।
“যাদের সহযোগিতায় আমরা ফিরতি ফ্লাইটে দেশে আসতে পেরেছি তাদের ধন্যবাদ। ধর্মের নামে এই সন্ত্রাসী হামলায় নিষ্পাপ মানুষদের মেরে ফেলা! স্তম্ভিত করে দেওয়ার মতো খবর। সবাইকে একসঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে।”
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, “হামলার ধরন দেখে এর পেছনে আইএস জঙ্গিরা থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রথমে হামলাকারীরা বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল হলের প্রবেশমুখের একটি চেক পয়েন্টে থেকে গুলি করা শুরু করে। এসময় তাদের থামতে পুলিশরাও গুলি চালিয়েছিল। এরপর তিনজন সন্ত্রাসী উপস্থিত যাত্রীদের পালানোর আগেই আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।