'দ্য রিচ আইজেন শো'তে এক সাক্ষাৎকারে সিরিজে প্রত্যাবর্তনের খবর নিজেই জানান ম্যাককোনাহে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, নির্লিপ্ত কিন্তু দুঃসাহসী রাস্ট কোল চরিত্রটি নিজের ব্যাক্তিগত পছন্দ বলেই স্বীকার করেছেন ৪৬ বছর বয়সী এই তারকা।
নতুন সিজনে রাস্ট কোলের প্রত্যাবর্তন দেখা যাবে কিনা, সে প্রসঙ্গে ম্যাককোনাহে জানান, "আমি ফিরবো। তবে সেটা হতে হবে প্রাসঙ্গিক এবং সঠিক পথে। চরিত্রটিতে পুরোনো সেই স্ফুলিঙ্গের প্রয়োজন রয়েছে ঠিক যখন আমি প্রথম সিরিজের চিত্রনাট্য পড়েছিলাম।"
২০১৪ সালে প্রথম সিজন প্রচার হবার সময় 'ট্রু ডিটেকটিভ' ঘিরে ছিলনা কোন ধরণের দর্শক প্রত্যাশা কিংবা আগ্রহ। তবে, সিরিজের কাহিনি এবং চরিত্রগুলোর গভীরতার কারণেই রাতারাতি সিরিজটি লাভ করে দর্শকপ্রিয়তা।
বিশেষ করে, গোয়েন্দা রাস্ট কোল এর মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ স্বভাব তাকে পরিণত করে ছোট পর্দার অন্যতম আইকনিক চরিত্র হিসেবে।
নিজের পুরোনো অভিজ্ঞতা নিয়ে ম্যাককোনাহে বলেন, "আমি যখন চিত্রনাট্যটি পড়ি, ২০ মিনিট পরেই আমি জানতাম যে আমি এই চরিত্রে অভিনয় করবো এবং জন্য মুখিয়ে ছিলাম। আমি কোলকে মিস করি। প্রতি রবিবার রাতে তাকে পর্দায় দেখাটাও মিস করি। আমি উচ্ছ্বসিত ছিলাম যখন আমরা সিরিজটি নির্মাণ করি, কারণ ছয় মাসের জন্য আমি আমার নিজস্ব জগতে ছিলাম।"
অবশ্য সিরিজটির ধরণ অনুযায়ী 'ট্রু ডিটেকটিভ' এ দ্বিতীয়বারের মত ম্যাককোনাহের ফেরার কথা ছিলনা।
অ্যান্থলজি ধাঁচের ক্রাইম/ড্রামা ঘরাণার এই সিরিজটি অন্ধকার জগতের মানুষদের জটিলতর জীবনের কাহিনী নিয়ে প্রতি সিজনেই হাজির করবে অভিনব গল্প এবং চরিত্র- সিরিজটি নির্মাণের সময় এমনটাই জানিয়েছিলেন এর নির্মাতা নিক পিজোলাটো। তবে, রাস্ট কোল-এর জনপ্রিয়তাই তাকে নতুন করে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করছে নির্মাতাদের।
প্রথম সিজনে ম্যাথু ম্যাককোনাহে-উডি হ্যারেলসনের হাত ধরে 'ট্রু ডিটেকটিভ' সফল একটি সিরিজ হিসেবে দর্শকপ্রিয়তা পেলেও দ্বিতীয় সিজনে ব্যার্থ হয় প্রত্যাশা পূরণে। কলিন ফ্যারেল, ভিন্স ভন, র্যাচেল ম্যাকঅ্যাডামস এবং টাইলার কিশ এর মত তারকাদের প্রচেষ্টাতেও নতুন গল্পের স্বাদে ছিল বৈচিত্র্যের অভাব।
অবশ্য রাস্ট কোলের প্রত্যাবর্তনের খবরে সিরিজটি ঘুরে দাঁড়াবার আশার আলো দেখতেই পারেন 'ট্রু ডিটেকটিভ' নির্মাতা এবং ভক্তরা।