‘জিৎ-এর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি’

লন্ডন থেকে বাবা যাদবের ‘বাদশা- দ্য ডন’ সিনেমার কাজ শেষে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া মাজহার। যৌথ প্রযোজনার এই সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন ওপার বাংলার আলোচিত নায়ক জিৎ-এর বিপরীতে।

প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2016, 10:37 AM
Updated : 9 June 2016, 10:37 AM

যৌথ প্রযোজনার সিনেমা দিয়ে রূপালি জগতে ফারিয়ার যাত্রা শুরু হলেও, জিৎ-এর মতো প্রথম সারির অভিনেতার বিপরীতে এই প্রথম দেখা যাবে তাকে। ক্যারিয়ারের শুরুতেই প্রতিষ্ঠিত একজন তারকার বিপরীতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল তার?

গ্লিটজ-এর এই প্রশ্নে নুসরাত ফারিয়া জানালেন, অভিনয়ের নতুন অনেক কৌশল তিনি রপ্ত করেছেন জিৎ-এর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে।

“জিৎ-এর কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। এরমধ্যে সবচেয়ে ভালো জিনিসটি হল, শুটিংয়ের আগে দৃশ্যটি নিয়ে ভালভাবে অনুশীলন করে নেওয়া। র বাংলাদেশে যার প্রচলন একেবারেই নেই।”

ফারিয়া আরও বলেন, “জিৎকে দেখেছি তিনি কোন দৃশ্য অভিনয় করার আগে পুরো দৃশ্যটির রির্হাসেল করেন। এই বিষয়টি একজন শিল্পীকে দৃশ্যর ভিতরে পুরোপুরি ঢুকিয়ে নিয়ে কতটা যে সহায়ক, তা আমি তার সাথে কাজ করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছি।”

ফারিয়ার ভাষ্যে, লন্ডনে তিনি প্রতিদিন মুখিয়ে থাকতেন জিৎ-এর সঙ্গে শুটিং-এর অপেক্ষায়।

তিনি বলেন, “জিৎ-এর সঙ্গে শুটিংয়ের জন্য আমি অপেক্ষা করতাম। কিভাবে পুরো চরিত্রকে অনুভব করা যায়, চরিত্রের গভীরে প্রবেশ করা যায়, কিভাবে একটি দৃশ্যকে খুব ভালোভাবে নিজের ভিতরে গ্রহন করতে হয়- এই জিনিসগুলো আমি তার কাছ থেকেই শিখেছি।”

জাজ মাল্টিমিডিয়া ও এসকে মুভিজ-এর ব্যানারে ‘বাদশা- দ্য ডন’-এর প্রযোজনা করেছেন ভারতীয় নির্মাতা বাবা যাদব। লন্ডনে শুটিং-এর পুরোটা সময়, এই নির্মাতাই নাকি হাসি-ঠাট্টায় মাতিয়ে রাখতেন সবাইকে।

“লন্ডনে আমাদের শিডিউল খুবই টাইট ছিলো। ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠে শুটিং-এর কাজ করতে হতো। তবে আমাদের সিনেমার পরিচালক বাবা যাদব  সবাইকে আনন্দে মাতিয়ে রাখতেন। তিনিই ছিলেন আমাদের ইউনিটের প্রাণ।”

লন্ডন থেকে একরাশ মজার অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়ে ফিরলেও, শ্যুটিং-এর সেটেই দুর্ঘটনার শিকার হন নুসরাত ফারিয়া।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “লন্ডনের ডিজনিল্যান্ডে একটি গানের শুটিং করছিলাম। যেখানে এই শুটিং চলছিল সেখানে ছিলো অনেক ছোট ছোট পাথর। নাচের একটি মুদ্রা করতে গিয়ে আমি সেখানে হোচট খেয়ে পড়ে যাই। তখনই আমার দুটো পায়ের হাঁটু থেতলে যায়।”

দুর্ঘটনার ক্ষত নিয়েই শুটিং শেষ করেছেন ফারিয়া, জানালেন এমনটাই।

“আমি তখন ঠিকমতো হাঁটতেও পারছিলাম না। সবাইকে ধরে ধরে আমাকে হাঁটতে হয়েছে। এখনও পুরোপুরি সেরে উঠিনি। আমার ক্ষতের ঘা এখনো পুরোপরি শুকোয়নি।” 

পায়ের এই অবস্থা নিয়েই দেশে ফিরে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জাকির হোসেন রাজুর ‘প্রেমী ও প্রেমী’ সিনেমার কাজ নিয়ে। বান্দরবানে আরিফিন শুভর সঙ্গে চলছে শুটিং-এর কাজ।

‘বাদশা- দ্য ডন’ ঈদ উপলক্ষ্যে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।