মানহানির মামলায় গ্রেপ্তার শাওনকে দুদিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হলে তার পক্ষে এই দাবি করেন তার আইনজীবী।
শাওনের জামিনের আবেদন জানিয়ে আইনজীবী বেলাল হোসেন বলেন, “মাহির সঙ্গে শাওনের বিয়ে হয়েছিল। তা বলবৎ থাকা অবস্থাতেই মাহি অন্য একজনকে বিয়ে করেছেন।”
মাহি ও শাওনের ‘বিয়ের কাবিননামা’ও এই আইনজীবী আদালতে জমা দেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই উজির আলী।
জামিন আবেদনের বিপরীতে পুলিশ মাহির করা মামলায় শাওনকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে আরও সাতদিন হেফাজতে নিতে আবেদন করেন।
তবে হাকিম মাজহারুল ইসলাম কোনো আবেদনই গ্রহণ না করে শাওনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে আদালতে পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার মিরাশউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করার দুদিন বাদে গত ২৭ মে ‘বন্ধু’ শাওনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন এই সময়ের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মাহি।
মাহি নামে রুপালি পর্দায় পরিচিত শারমিন আক্তার নীপার অভিযোগ, তার বিবাহিত জীবন ভেঙে দেওয়ার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে বন্ধু শাওন ও তার কয়েকজন সঙ্গী ফেইসবুকসহ বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে তাদের বিভিন্ন ছবি ছেড়ে দেয়।
মাহি মানহানির মামলা করলেও তা প্রকৃতপক্ষে তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় পড়েছে। কারণ উত্তরা পশ্চিম থানায় করা এই মামলায় তিনি অভিযোগ এনেছেন তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭/২ ধারায়।
যে ধারাটিতে মাহিয়া মাহি মামলা করেছেন, তা প্রমাণিত হলে শাস্তি অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক ১ কোটি টাকা জরিমানা।