অ্যাম্বারকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের সময় সশরীরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে ব্রিটিশ ওয়েবসাইট 'ফিমেইলফার্স্ট ডটকম'-কে জানান তিনি।
পেনিংটনের বিবৃতি অনুয়ায়ী, মে এর ২১ তারিখ সাবেক দম্পতির বাসভবনে সংঘটিত বাক বিতণ্ডা থামাতে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। সেখানে ক্ষিপ্ত ডেপ একপর্যায়ে ‘বল প্রয়োগ’ করে তাকে সরিয়ে দেন অ্যাম্বারের কাছ থেকে।
আদালতকে পাঠানো এক বিস্তারিত বিবৃতিতে পেনিংটন জানান, "(মোবাইলে ক্ষুদে বার্তায়) আমাকে অ্যাম্বারের কনডোমিনিয়াম ইউনিটে আসতে বলা হয়। আমি বিছানার উপর অ্যাম্বারকে দেখি, মুখ ঢেকে রেখেছে হাত দিয়ে, আর জনি তখন তার দিকে তীব্র স্বরে চিৎকার করছিলো।"
"আমি দৌঁড়ে যাই এবং জনি ও অ্যাম্বারের মাঝে যেয়ে দাঁড়িয়ে জনিকে চিৎকার থামানোর জন্য অনুরোধ করি। আত্মরক্ষার জন্যই আমি আমার হাত উঠাই তাকে থামাবার জন্য। জনি চড় মেরে আমার হাত সরিয়ে দেয় আর যাচ্ছেতাই গালাগাল করতে থাকে।"
শেষ পর্যন্ত রাগে ফুঁসতে থাকা ডেপের হাত থেকে অ্যাম্বারকে বাঁচাতে তাকে নিজের ঘরে নিয়ে আসেন বলে জানান পেনিংটন।
ঘটনার পরের দিনেই আদালতে জনি ডেপের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক কাগজপত্র দাখিল করেন অস্ট্রেলিয় অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। পরবর্তীতে জনি ডেপকে তার ‘আলাদা হয়ে যাওয়া’ স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের কাছ থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক।
মারধোরের অভিযোগের প্রমাণস্বরূপ বাঁ চোখের নিচে গাঢ় ক্ষত সহ অ্যাম্বারের একটি ছবি আদালতে দেখানো হলেও সে বাড়িতে অ্যাম্বারের উপর চালানো কোন ধরণের শারীরিক নির্যাতনের ‘শক্ত প্রমাণ পায়নি’ লস এঞ্জেলস পুলিশ বিভাগ।
ব্রিটিশ ওয়েবসাইট 'ডেইলিস্টার ডটকম' বলছে, মিথ্যে অভিযোগের করে ডেপের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অপপ্রচেষ্টা চালাচ্ছেন ৩০ বছর বয়সী অ্যাম্বার, এমনটাই বলছে ডেপের আইনজীবিরা।
এখনও পর্যন্ত এব্যাপারে মুখ না খুললেও একটি বিস্তারিত সাক্ষাৎকারে অ্যাম্বারের সঙ্গে 'সকল হিসেব নিকেশ মেটাতে চান' বলেই জানিয়েছে ‘পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান’ খ্যাত এই অভিনেতার ঘণিষ্ঠ এক সূত্র।