আর তা নিয়েই উঠে পড়ে লাগে টুইটার জগত। ‘মোটা’ ফারদিনকে নিয়ে একের পর এক ট্রল, মিম তৈরি শুরু হয়। এক সময়ের এই ‘চকলেট হিরো’ বনে যান হাসির খোরাক।
একজন মানুষের ওজন বৃদ্ধি নিয়ে ক্রমাগত হাসাহাসি দেখে এর প্রতিবাদ করেন গায়ক আদনান সামি। যে কীনা নিজেও হয়েছেন এমন ‘বডি শেমিং’এর শিকার।
অবশেষে মুখ খুলেছেন ফারদিন নিজে। প্রয়াত অভিনেতা ফিরোজ খানের এই পুত্র ফেইসবুকে লেখেন,‘সবাইকে বলছি, আমি মোটেও লজ্জিত, হতাশ কিংবা অন্ধ নই। আমি কি খুশি? অবশ্যই!! ছুটির দিনগুলোতে আপনাদের আনন্দ দিতে পেরে আমার ভাল লাগছে। যদি আমাকে নিয়ে হাসাহাসি শেষ হয়, তাহলে অনুরোধ করবো একবার নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন।'
'যদি এভাবে একজন মানুষকে নিয়ে হাসাহাসি করে আপনার নিজেকে শক্তিশালী মনে হয়, তবে আপনার ভবিষ্যৎ কিন্তু অন্ধকার। আমি বাক স্বাধীনতায় সম্পূর্ণ বিশ্বাস করি, তবে ইন্টারনেটে বাক স্বাধীনতার নামে এখন যা হচ্ছে তা সত্যিই ভয়ঙ্কর। আমি শুধু বলতে চাই, অনেক দিন পর আমি আমার জীবনে একটি ভাল অবস্থানে আছি। আমি চাই আপনারা সবাই আমার জন্য খুশি হন এবং আমাকে দেখে হতাশ বোধ না করুন।’ লেখেন ফারদিন।
‘বডি শেমিং’ অর্থাৎ কারও শরীরের গঠন নিয়ে হাসাহাসি করার প্রচলন চালু হয়েছে গত কয়েক বছর ধরে। ওজনের কারণে সমালোচনার শিকার হয়েছেন সোনাকশি সিনহা, পারিনিতি চোপড়ার মত নায়িকারাও।