নিজেও ক্যারিয়ার শুরু করেছেন মাত্র আট বছর বয়সে, তাই ইন্ডাস্ট্রির খোঁজ খবর ভালোভাবেই জানেন ৩৫বছর বয়সী এলাইজাহ উড। দ্য গার্ডিয়ান বলছে, 'সানডে টাইমস' এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে হলিউডের এক অন্ধকার জগত সম্পর্কে কথা বলেন এলাইজাহ। অভিনয়ের সময়েও মা'র সঙ্গ পাওয়ায় কোনপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়নি তাকে, যেখানে অন্যান্য শিশু তারকারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই ব্যক্তিদের কাছে হয়েছে হয়রানির শিকার।
মূলতঃ আলোচনায় পেডোফিলিয়ার প্রসঙ্গ ওঠে প্রয়াত ব্রিটিশ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জিমি স্যাভিলকে কেন্দ্র করে। তিনি গত হয়েছেন পাঁচ বছর হলো, কিন্তু তার যৌন হয়রানির ইতিহাস বের হয়েছে এরপরই। দাতব্য কাজের আড়ালে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে শত শত শিশুর উপর যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন তিনি।
সে প্রসঙ্গ টেনেই এলাইজাহ বলেন, "আপনারা স্যাভিলের মত একজনকে দেখতে দেখতে বড় হয়েছেন- ঈশ্বর, এটা নিশ্চয়ই দুঃসহ ছিল। নিশ্চয়ই বড় কোন কিছু ঘটছিল হলিউডে। সবকিছুই হয়েছে সংঘবদ্ধভাবে। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বড় বড় সাপ রয়েছে, যাদের মনে নিজেদের স্বার্থ ছাড়া আর কিছু নেই। পর্দার ঠিক আড়ালেই রয়েছে অন্ধকার; যদি সেটা কল্পনা করতে পারেন, তবে সেটা হয়ে গেছে।"
শিশু তারকাদের যৌন নির্যাতনের শিকার হবার কারণ হিসেবে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সামনে উচ্চবাচ্চ্য না করতে পারাটাকেই দেখালেন এই তারকা, পুরো ব্যাপারকে এই সরল প্রকৃতির মানুষদের জন্য এক দুঃখজনক ঘটনা বলেই ব্যাখা করেন এলাইজাহ।
তিনি বলেন, “যারা এসবের শিকার হচ্ছে, তারা ক্ষমতাবানদের মতো সোচ্চার হতে পারে না। নিষ্পাপ মানুষদের সঙ্গে কি অবিচার হচ্ছে সেটা প্রকাশ করতে যাওয়ার এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সমস্যা।”
বেশ কয়েকবছর ধরেই পশ্চিমা বিনোদন জগতে শিশুদের যৌন নিগ্রহের ঘটনার বিষয়টি শিরোনামে উঠে আসছে। এই বিষয়ের উপর ব্রিটিশ নির্মাতা এমি বার্জ ২০১৫ সালে তৈরী করেছিলেন প্রামাণ্যচিত্র ‘অ্যান ওপেন সিক্রেট’। প্রামাণ্যচিত্রটিতে উঠে এসেছে কৈশরের শুরুতেই যৌন নিপীড়ণের মতো ভয়ঙ্কর ঘটনার মুখোমুখি হওয়া অনেকের কথা।