‘ভালোবাসার শহর– দ্য সিটি অফ লাভ’-এ প্রথমবারের মতো জয়া অভিনয় করছেন ‘নামহীন’ এক চরিত্রে। এ প্রসঙ্গে গ্লিটজকে তিনি বলেন, “আমার অভিনীত চরিত্রটির কোনো নাম নেই। আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন আমার চরিত্র প্রসঙ্গে, তাহলে বলবো আমি নামহীন একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। সিনেমাটি দেখার পরেই আপনারা বুঝতে পারবেন, কেনো মেয়েটির নাম দেয়া হয়নি।”
প্রথমবাবের মতো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় সম্পর্কে গ্লিটজকে জয়া আহসান বলেন, “সময়ের দিক থেকে হিসেব কষলে এটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। হয়ত ১৫ থেকে ২০ মিনিট দৈর্ঘ্যের সিনেমা হবে। কিন্তু আসলে এটা একটি সম্পূর্ণ সিনেমা। সিনেমাতে কাজের অনূভুতির মতোই একই রকম অনূভুতি এখানেও কাজ করেছে। আসলে একটি ব্যতিক্রম ইমেজে নিজেকে দেখা-- যেমনটি একজন অভিনেতার হয়ত মঞ্চে কিংবা অন্য মাধ্যমে নিজেকে দেখে মনে হয়— সে রকম অনূভুতিই কাজ করেছে ‘ভালোবাসার শহর– দ্য সিটি অফ লাভ’-এ।”
বাণিজ্যিক এবং বিকল্প-- দুই ধারাতেই পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমায় যখন তুঙ্গে রয়েছেন জনপ্রিয়তার, ঠিক এই সময়টাতে স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায় কাজের নেপথ্যের কারনটা কী?
স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা হলেও কাজের ক্ষেত্রে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হননি জয়া। সিনেমাটিতে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একজন অভিনেতা যেমন করে কাজ করে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাতে ঠিক সেই ভাবেই কাজ করেছি। একজন অভিনেতা যখন কোনো নাটক কিংবা পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা কিংবা কোন স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায় অভিনয় করেন তখন তিনি তার সবটুকুই দিয়েই অভিনয় করেন। আসলে একটি সিনেমা নির্মাণের জন্য যেমন আয়োজন করা হয় সেই ধরনের পুরো আয়োজনই ছিলো এই স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাটির ক্ষেত্রে।”
ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরীর স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাতে বাংলাদেশের জয়া আহসান ছাড়াও আরো অভিনয় করেছেন কলকাতার হৃত্বিক চক্রবর্তী, অরুণ মুখোপাধ্যায় এবং শর্মী সরকার।
তাহলে ‘ভালোবাসার শহর– দ্য সিটি অফ লাভ’ কোন শহরের গল্প? আবারো জয়া হেসে বললেন, “এই গল্পটি হতে পারে পৃথিবীর যে কোনো শহরের গল্প। এই গল্পটা হতে পারে ঢাকার গল্প, গল্পটা হতে পারে কলকাতার, আবার ইস্তাম্বুলেরও। এই গল্পটা হতে পারে তৃতীয় বিশ্বের যে কোনো শহরের, যে কোনো জায়গার। যে কোনো ভালোবাসার শহরের গল্পই হতে পারে এটি।”