গ্লিটজ: ‘মুসাফির’ সিনেমায় আপনার চরিত্রটি সম্পকর্ে বলুন...
মারজান জেনিফা: সিনেমাতে আমি জারা মেহজাবিন নামে একজন ডাক্তারের চরিত্রে অভিনয় করেছি। যে খুবই সাধারন একজন মেয়ে। সিনেমায় আরেফিন শুভ আমাকে খুন করতে আসে, বলতে গেলে সিনেমায় ভিলেইন চরিত্রগুলো আমার জীবনে ভিডিও গেইমের খলচরিত্রের মতো করে একে একে আসতে থাকে। কিন্তু ঘটনাচক্রে আরেফিন শুভ আমাকে বিভিন্ন খলচরিত্রগুলোর আক্রমন থেকে প্রত্যেকবার প্রাণে বাঁচায়। এক পর্যায়ে আমরা একে অপরের প্রেমে পড়ে যাই, যা সাধারন একটা অ্যাকশন-রোমান্টিক সিনেমায় হয়ে থাকে। এর বেশি আর বলতে চাইছি না। বাকি গল্পটুকু প্রেক্ষাগৃহের দর্শকদের জন্য তোলা থাক।
গ্লিটজ: আরেফিন শুভর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
মারজান জেনিফা: সহশিল্পী হিসেবে আরেফিন শুভ অত্যন্ত সহযোগী মনোভাবের একজন মানুষ। সিনেমার দৃশ্যধারণের সময় অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। পুরো সিনেমায় তার সাথে কাজ করতে গিয়ে আমার একটি মুহূর্তের জন্য মনে হয়নি ‘মুসাফির’ সিনেমাটি আমার অভিনীত প্রথম সিনেমা। কারণ আরেফিন শুভ খুবই বন্ধুভাবাপন্ন একজন অভিনয়শিল্পী। তার সাথে কাজ করতে গিয়ে কিভাবে যে পুরো সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়ে গেছে তা বুঝে উঠতেই পারিনি। সত্যি বলতে আমরা খুবই মজা করে কাজ করেছি। এখনও মাঝে মাঝে কিছু ঘটনা মনে পড়লে নিজের মনেই প্রশ্ন জাগে আমরা কি তখন ‘মুসাফির’ সিনেমার দৃশ্যধারণ করেছিলাম নাকি সবাই মিলে বনভোজন করছিলাম।
গ্লিটজ: ‘মুসাফির’ সিনেমার দৃশ্যধারণের সময়কার কিছু মজার ঘটনা শুনতে চাই..
গ্লিটজ: ‘মুসাফির’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে গল্পের কোন দিকটি আপনাকে আকর্ষিত করেছে?
মারজান জেনিফা: ‘মুসাফির’ বেশ অ্যাকশনর্নিভর সিনেমা। তবে সিনেমাতে বেশ রোমান্টিক দৃশ্যও রয়েছে। এটাকে শুধুমাত্র অ্যাকশন কিংবা রোমান্টিক সিনেমা বলা সম্ভব না। তবে সিনেমায় নায়ক ও নায়িকার চরিত্রের রসায়ন এবং একজন শান্তশিষ্ট ডাক্তার মেয়ের চ্যালেঞ্জিংচরিত্রের চিত্রায়নের বিষয়টি সত্যি বলতে আমাকে আকৃষ্ট করেছে। আমি বিশ্বাস করি একজন অভিনয়শিল্পীকে যে কোনো চরিত্র চরিত্রায়নের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা উচিত। মূলত এই কারণেই আমি এই সিনেমাতে অভিনয়ের প্রস্তাব লুফে নিয়েছিলাম।
গ্লিটজ: আরেফিন শুভর সঙ্গে সিনেমায় ‘আলতো ছোঁয়া’ নামে একটি রোমান্টিক গানে কাজ করেছেন, সেই কাজের অভিজ্ঞতার কথা বলুন।
মারজান জেনিফা: আরেফিন শুভ আমাকে রোবোকপ বলে ডাকে। কারণ সাধারণত রোমান্টিক দৃশ্যে নায়িকাকে নায়ক বেশ রোমান্টিকভাবে আলিঙ্গন করে থাকে। কিন্তু যেহেতু আমি রক্ষনশীল পরিবারের মেয়ে...রোমান্টিক দৃশ্যধারণের সময় আরেফিন শুভর সঙ্গে স্বচ্ছন্দ হতে পারছিলাম না..নিজের ভেতরে কিছুটা ইতস্তত বোধ করছিলাম..সংকোচ বোধ করছিলাম কারণ শুভকে আলিঙ্গন করবো। কিন্তু পরবর্তীতে সেই ইতস্তত ভাব কাটিয়ে উঠেছিলাম।
গ্লিটজ: ঢাকাই সিনেমায় প্রতিনিয়ত অনেক নতুন মুখ আসছেন, যাদের বেশির ভাগই হারিয়ে যাচ্ছেন। মারজানও কি হারিয়ে যাবে?
গ্লিটজ: প্রেক্ষাগৃহে দর্শকরা মারজানের সিনেমা কেন দেখতে যাবে?
মারজান জেনিফা: সিনেমায় আমি খুবই সাধারণ একজন ডাক্তার মেয়ে, যাকে তার পরিচিত সবাই খুবই পছন্দ করে। সিনেমার হিরোর সাথে আমার অনেক রোমান্টিক দৃশ্য রয়েছে..তাছাড়া হিরোর সাথে অনেক ন্যাকামিও করি। হয়তো আমার ন্যাকামিগুলোই দর্শকরা বেশি পছন্দ করবে..লুফে নেবে। এখন আমার আশা পূরণের বিষয়টি দর্শকের ওপর র্নিভর করছে।
গ্লিটজ: ভবিষৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাই..
মারজান জেনিফা: ভবিষৎ পরিকল্পনা বলতে আমি ভাল গল্পে, ভাল র্নিমাতার ও ভালো প্রযোজনা সংস্থার কাজ করতে চাই। তবে সত্যি বলতে কি, এখন মাথায় শুধুমাত্র ‘মুসাফির’ সিনেমার প্রচারণার বিষয়গুলো ও সিনেমাটি আমাদের দর্শকরা কিভাবে গ্রহণ করবে সেই বিষয়গুলোই ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে হাতে বেশ কিছু সিনেমার প্রস্তাব আছে, সেগুলো সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে চাইছি না।