মিমির সাহসিকতায় বাঁচলো প্রাণ

সিনেমার পর্দায় নয়, বাস্তবেই সাহসিকতার প্রমাণ দিলেন টালিগঞ্জের অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। গাড়ি চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মদ্যপ চালক ও তার সঙ্গীকে ধরলেন ধাওয়া করে।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2016, 12:01 PM
Updated : 19 Jan 2016, 12:01 PM

পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, ১৭ জানুয়ারি রাত এগারোটায় এক অনুষ্ঠান শেষে নদীয়া থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন মিমি। সঙ্গে ছিলেন তার সহকারী এবং দুই দেহরক্ষী।

তেঘরিয়ায় নামে একটি স্থানে এসে দেখেন, একটি গাড়ি এক মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। গাড়ির চাকায় আটকে মোটরসাইকেল আরোহীর দেহ আটকে যায়। এরপর পুরো তিন কিলোমিটার রাস্তা লোকটিকে টেনেহিচড়ে নিয়ে যায় গাড়িটি।

চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখে গাড়িটাকে থামানোর চেষ্টা করেন মিমি। এক পর্যায়ে গাড়ির গতি কমে এলে, তখনই গাড়িটাকে ধরে ফেলেন তারা।

মিমি রাস্তায় নেমে গাড়ির নম্বরপ্লেট এবং দুই আরোহীর ছবি তুলে নেন মোবাইলে। ওদিকে গাড়ির চাবি হাতিয়ে নেন মিমির দুই দেহরক্ষী। মিমি ফোন করেন তার পরিচালক বন্ধু রাজ চক্রবর্তীকে, ফোন করা হয় মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসকেও। অবশেষে হাজির হয় পুলিশ। 

পুলিশ জানায়, গুরুতর আহত মোটরসাইকেল আরোহী রাকেশ আগারওয়ালের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেদিন রাতে মদ্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন যেই দুই ব্যক্তি, তাদের নাম রাজু বন্দোপাধ্যায় এবং ব্রজ বন্দোপাধ্যায়।

রাকেশের স্ত্রীকে খবর দেন মিমি নিজেই। গণমাধ্যমকে মিমি জানান, এই দুর্ঘটনায় রাকেশের কোনো দোষ ছিল না, তার মাথায় হেলমেট ছিল।

রাকেশবাবু যখন চাকার তলায় এসে পড়লেন, তখনও যদি তারা গাড়িটা থামাতো, তাহলে মানুষটা এতো জখম হতেন না।

হঠাৎ দেখলাম মানুষটার পা-টা দেহ থেকে আলাদা হয়ে গেল। আমি আর মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। আমার ড্রাইভারকে বললাম, ওদের কিছুতেই পালাতে দেবো না।

‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ খ্যাত এই অভিনেত্রী আক্ষেপ করে জানান, পুরো ঘটনাতে লোকটিকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেনি কেউই। 

"তিন কিলোমিটার রাস্তা যখন মানুষটা ঘষটে ঘষটে যাচ্ছিল, একটা গাড়িও থামল না। যখন আমরা গাড়িটাকে আটকালাম, তখনও কেউ দাঁড়ালো না। যারা আশেপাশে ছিল, তারা এসে আমার ছবি তুলতে লাগল, কেউ আহত মানুষটার দিকে ফিরে তাকালো না।"