সম্প্রতি আমির মন্তব্য করেন, সাম্প্রতিক সময়ে নয়া দিল্লীতে গোমাংস খাওয়ার গুজবে এক ব্যক্তিকে হত্যাসহ নানা ঘটনায় তিনি শঙ্কিত। বাড়িতে তার স্ত্রী কিরান রাও তাকে এমনটাও বলেছেন যে, তাদের কি দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিৎ!
আমিরের এই মন্তব্যে প্রথম প্রতিক্রিয়া জানান অনেকগুলো সিনেমায় তার সঙ্গে কাজ করা অভিনেতা অনুপম খের। তিনি টুইট করেন,প্রিয় আমির, তুমি কি কিরানকে জিজ্ঞেস করেছো সে ভারত ছেড়ে কোন দেশে যেতে চায়?তুমি কি তাকে বলেছো এই ভারতীয়রাই তোমাকে আজ ‘আমির খান’ বানিয়েছে?
অভিনেতা ঋষি কাপুর টুইট করেন, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আমির খান, যখন পরিস্থিতি খারাপ থাকে, তা ভালো করার চেষ্টা করুন। এটাই আসল দেশপ্রেমিকের কাজ। পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে যাওয়া কোনো সমাধান নয়।
আমিরের ‘রঙ্গিলা’ সিনেমার পরিচালক রাম গোপাল ভার্মার মতে, “যে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু থাকা সত্ত্বেও তিন জন মুসলমান অভিনেতাকে সুপারস্টার মনে করা হয়, সেই দেশ কতখানি ধর্ম নিরপেক্ষ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।”
শুধু তাই নয়, টুইটারে একটি ধাঁধা পোস্ট করেন ভার্মা, যেখানে প্রায় ৪ হাজার ভোট পড়ে। এর মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করে দেখান শাহরুখ, আমির ও সালমান ভারতে কতখানি জনপ্রিয়।
আমিরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তার এক সময়ের সহশিল্পী রাভিনা ট্যান্ডনও।
তিনি টুইট করেন, যারা নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাননি, আসলে তারাই এ ধরনের মন্তব্য করে নিজের জাতিকে লজ্জায় ফেলছেন। নিজের দেশের দিকে আঙুল তোলার আগে তাদের ভেবে দেখা উচিৎ, তারা দেশের জন্য কি করেছেন?
পরেশ রাওয়াল লেখেন, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা! ভারত কতখানি ধর্ম নিরপেক্ষ তার প্রমাণ তো পাওয়া যায় আমিরের ‘পিকে’র বক্স-অফিস আয় থেকেই। হিন্দু ধর্মবিশ্বাস নিয়ে রসিকতা করে সিনেমা বানিয়েও ভারতীয়দের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিলেন আমির।
আমিরকে কিছুটা হলেও সমর্থন জানিয়েছেন সঙ্গীতকার এ আর রহমান। তবে তার মতে, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিষয়টি এখন গোলমেলে হয়ে পড়ছে।
“আমরা সভ্য জাতি। কিন্তু এই প্রতিবাদ এখন গণ্ডগোলে পরিণত হচ্ছে। আমাদের উচিৎ সবাইকে দেখিয়ে দেয়া, যে আমরা শান্তিপূর্ণভাবেও প্রতিবাদ করতে পারি।”