সেই সঙ্গে সিনেমাটি নীতিমালা মানছে কি না তা তদন্ত করতে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য অনুমোদন কমিটিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
যৌথ প্রযোজনার সিনেমা হলেও পশ্চিমবঙ্গের সোহম এবং বাংলাদেশের বিদ্যা সিনহা সাহা মিম অভিনীত ‘ব্ল্যাক’-এ ঢাকাই ছবির কোনো ছাপ না থাকার অভিযোগ ওঠে। তথ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নীতিমালা কতোটা মানা হয়েছে তা নিরীক্ষার পরই বাংলাদেশে ছাড়পত্র পাবে সিনেমাটিকে।
সেন্সর বোর্ড সচিব মুন্সী জালাল উদ্দিন গ্লিটজকে বলেন, “তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জি এম নজমুল হোসেন খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই রিভিউ কমিটি সিনেমাটি দেখবে। তবে তার আগে চিত্রনাট্য অনুমোদন কমিটি সিনেমাটির ব্যাপারে তাদের মতামত জানাবেন। আপাতত ‘ব্ল্যাক’ সিনেমাকে সেন্সর সনদ দেওয়া হচ্ছে না।”
শুক্রবার ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘ব্ল্যাক’। এদিকে সিনেমাটির বাংলাদেশি প্রযোজক গোলাম কিবরিয়া লিপুর দাবি, “সিনেমাটি আমি নীতিমালা মেনেই করেছি। আমি যৌথ প্রযোজনার আইন অমান্য করি নাই। সিনেমাতে ভারত-বাংলাদেশকে সমানভাবে প্রাধাণ্য দেওয়া হয়েছে।”
গ্লিটজের সঙ্গে আলাপে লিপু ক্ষোভ ঝাড়লেন সেন্সরশিপ নীতিমালার ওপর।
“যৌথ প্রযোজনার নীতিমালার কোথাও বলা নাই যে, সিনেমার পোস্টারে দুদেশের প্রযোজক-পরিচালকের নাম উল্লেখ করতে হবে। ভারতের পরিচালক তার মতো করেই সিনেমাটির প্রচার করবেন। আমি আমার মতো করে প্রচার করবো। আমার এখানে আমি ভারতের প্রযোজক-পরিচালকের নাম দেবো না। এতে যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা লঙ্ঘনের কী হল?”
ওদিকে সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই ‘ব্ল্যাক’ এর পোস্টার রাজধানীর বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ঝোলানো হয়েছে। সে বিষয়ে প্রশ্ন করতেই বললেন, “আপনারা সাংবাদিকরা কি চোর পুলিশ খেলাতে নেমেছেন? আপনাদের যন্ত্রনায় তো দেখছি, সিনেমার কোনো প্রচারণাই করতে পারব না। আমি কী অশ্লীল কিছু করছি? সিনেমার বিলবোর্ডও টানাতে পারবো না আপনাদের জন্য! এখন যদি বলেন, সেগুলো অবৈধ, আমি সেগুলো টেনে-হিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলব।”
আরো বললেন, “এতই যখন অভিযোগ, তখন নীতিমালা ঠিক করতে পারে না সরকার?”
‘ব্ল্যাক’- এর নায়িকা মিম বলছেন, “সবাই আমাদের পেছনে লেগেছে। কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে সিনেমাটি ঠিক মুক্তি পাবে।”
ভারতের দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ও বাংলাদেশের কিবরিয়া ফিল্মসের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটির টিজার মুক্তির পরই সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে চলচ্চিত্রাঙ্গন। দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত গানগুলোতেও কোথাও বলা হয়নি, সিনেমাটি বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত।