এবারের উৎসব বাংলাদেশের চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
এবারের উৎসবে যোগ দিচ্ছেন ভারতীয় তবলাবাদক ওস্তাদ জাকির হোসেন, বাঁশিবাদক জয়াপ্রদা রামমূর্তি, কর্ণাটকি কণ্ঠশিল্পী ড. বালমুরালীকৃষ্ণ। তিনি এবারের আসরের প্রবীণতম শিল্পী। তার সঙ্গে বাঁশিতে যুগলবন্দি করবেন গ্র্যামি মনোনয়নপ্রাপ্ত শিল্পী রণু মজুমদার।
উৎসবে প্রথমবারের মতো আরও আসছেন শিল্পী শুভা মুদগাল, শ্রুত সাদোলিকার, ধ্রুপদিয়া ওয়াসিফউদ্দিন ডাগর, বেহালাবাদক এন রাজম। কুচিপুড়ি নৃত্য পরিবেশন করবেন নৃত্যশিল্পী দম্পতি রাজা ও রাদা রেড্ডি।
উৎসবে প্রথমবারের মতো সরস্বতী বীণা বাজাবেন জয়ন্তী কুমারেশ। এস্রাজ বাজিয়ে শোনাবেন শুভায়ু সেন মজুমদার। দুই বছর আগে এ উৎসবে গেয়েছিলেন অস্কার মনোনয়ন পাওয়া শিল্পী বম্বে জয়শ্রী। তিনি এবারও আসবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় বছর ভরতনাট্যম পরিবেশন করেছিলেন আলারমেল ভাল্লি, তিনিও আসছেন এবার। গণেশ রাজাগোপালন ও তার ভাই কুমারেশ কর্ণাটকি বেহালায় যুগলবন্দি বাজাবেন। বিশ্বের অন্যতম মৃদঙ্গশিল্পী কড়াইকুড়ি মানি সদলবলে বাজাবেন।
পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, পণ্ডিত সুরেশ তালওয়ালকার, পণ্ডিত উল্লাস কশলকার, পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, ওস্তাদ রশিদ খান - প্রতিবারের এবারও আসছেন। জনপ্রিয় শিল্পী রাহুল শর্মা ও কৌশিকী চক্রবর্তীসহ উদয় ভাওয়ালকার ও সামিহান কশলকারও থাকছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বলেন, “প্রতি বছর এমন আয়োজনের মধ্য দিয়ে মানুষকে ভালো গান শুনিয়ে, উঁচু স্তরের পরিবেশনার সঙ্গে পরিচিত করে, নিজের দেশে উচ্চাঙ্গ সংগীতের ভিতকে মজবুত করতে পারবো। গানের দেশ বাংলাদেশে সব রকম গানের চর্চাই তার ফলে উপকৃত হবে।”
গত বছরের মতো এবারও উৎসব হচ্ছে পাঁচ দিনের। এ প্রসঙ্গে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের পরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, “বিগত উৎসবগুলোতে তরুণ শ্রোতাদের আগ্রহ ও মনোনিবেশ আমাদের আশান্বিত করেছে। শ্রোতাদের অতৃপ্তি আর আকাঙ্ক্ষা থেকেই তিন দিনের উৎসব বেড়ে হয় পাঁচ দিনের। ”
অফ-সাইট নিবন্ধন এবং মোবাইলে নিবন্ধন অনুষ্ঠানের প্রথম দুদিন পর্যন্ত চলবে। তৃতীয় দিন থেকে আর অফ-সাইট অথবা মোবাইলে নিবন্ধন করা যাবে না, অনুষ্ঠানস্থলেও নিবন্ধন করা যাবে না। তৃতীয় দিন রাত ১টায় ফটক বন্ধ হয়ে যাবে।
ছবি- নয়ন কুমার, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম