ভুটানি ছবি দেখেছেন কি!

ভূটান দূতাবাসের আয়োজনে ঢাকায় চলছে ভূটান চলচ্চিত্র উৎসব। শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে পাঁচ দিনব্যাপী ভূটান চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2015, 09:04 AM
Updated : 3 Oct 2015, 09:49 AM

উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভূটানের রাষ্ট্রদূত এইচ.ই পেমা ছোদেন বলেন, “ভূটান এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। আর এ সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে এই চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা, যাতে বাংলাদেশি মানুষ আরও গভীরভাবে ভূটানের জীবনধারা সম্পর্কে অবগত হয়।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “অভিনয়ের মানুষ আমি। তাই যেন সে টানেই এ অনুষ্ঠানে ছুটে আসা। তাছাড়া আর একটা কারণ হল এর আগে ভূটানি চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ হয়নি। তাই সে সুযোগ পূরণের সুযোগটা আর মিস করলাম না।”

সংস্কৃতিমন্ত্রী আরও বলেন, “ভূটান-বাংলাদেশ দুটি পৃথক ভূখণ্ড হলেও এ দু দেশের সংস্কৃতির ভাষা কিন্তু একই। তাছাড়া যে কোনো দেশের সংস্কৃতি হলো বর্হিবিশ্বে নিজেদের মজবুত অবস্থান জানান দেয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র।”

বক্তব্য শেষে শুরু হয় পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র ‘দ্য কাপ’।

ভূটান দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি ক্যাল্ডেন দর্জি গ্লিটজকে বলেন, “বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই।  লোকমুখে শুনেছি,  এদেশের ইন্ডাস্ট্রি অনেক ভাল। এমনকি যথেষ্ট মানসম্মতও ।"

বললেন নিজের দেশের চলচ্চিত্র শিল্প নিয়েও।

“আমাদের ইন্ডাস্ট্রিটা অনেক ছোট। সেখানে বছরে ১০/১৫ টা ছবি নির্মাণ হয় মাত্র। আর তার বেশিরভাগই হয় বাণিজ্যিক ধারার।”

নিজের দেশের প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কথাও গ্লিটজকে জানাতে ভুললেন না, উৎসবে আসা ভূটানি শিক্ষার্থীরা। সোনাম তেনজিন, ছেনছো দর্জি, তোশোকি তোশোমোর নাম বলে গেলেন এক দমে। 

২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ চলচ্চিত্র উৎসব চলবে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এ উৎসব। প্রদর্শিত হবে ৬টি কাহিনীচিত্র এবং ৭টি তথ্যচিত্র।

সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘ট্রাভেলার্স অ্যান্ড ম্যাজিশিয়ান’, ‘ক্রোটেন কোরা’, ‘নাজওয়েন এক্সপ্রেস’, প্রামাণ্যচিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘প্রাইস অব নলেজ’, ‘দ্য কস্ট অব ক্লাইমেট চেঞ্জ’, ‘প্রাইস অব লেটার’।