প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া বলছে, নতুন সাইফাই সিনেমা ‘দ্য মার্শান’-তৈরি করার সময় নাসার সঙ্গে নিবিঢ়ভাবে কাজ করতে হয়েছে ‘এলিয়েন’ খ্যাত এই নির্মাতাকে। আর তখনই মার্কিন এই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের ‘হাড়ির খবর’ জেনে ফেলেন তিনি।
“আমি অনেক মাস আগে থেকেই জানতাম এটা। আমি যখন নাসার সঙ্গে প্রথম কথা বলি, আমরা সব কিছু নিয়েই গল্প করতাম। একবার আমি বলেছিলাম, 'তোমরা তো বিশাল ওই হিমবাহগুলোর অনেক গভীরে চলে গেছো।' তখন, ওরা বলেছিল, 'হ্যাঁ, সাদা রঙের বিশালাকৃতির ওই জিনিসটা, যেটা ধুলোয় ঢাকা পড়ে যায়, আমাদের ধারণা, সেটা বরফ।' আমি তখন বললাম, 'বাহ! তারমানে কি সেখানে আগে মহাসমুদ্র ছিল? ৭৫ কোটি বছর আগে কি মঙ্গল আমাদের এখনকার মতো অবস্থায় ছিল?' এটা শুনে তারা বললো, 'আহ! ভাল প্রশ্ন!' সুতরাং, তারা ওখানে গিয়ে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছিল।”
স্কট অবশ্য স্বীকার করেছেন যে, সিনেমার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরই কেবল মঙ্গলে পানির অস্তিত্বের কথা জানতে পারেন তিনি। ফলে সিনেমার গল্পে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা থেকে বেঁচে যান তিনি।
“ডেমনের অভিনীত নভোচারীটি কোনো এক হিমবাহের কিনারা খুঁজে পেতে পারতো। অবশ্যই সেটা অসাধারণ হতো। কিন্তু তাহলে আমরা অসাধারণ একটি দৃশ্য থেকে বঞ্চিত হতাম।”
২ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাচ্ছে ‘দ্য মার্শান’। সিনেমায় ডেমনের পাশপাশি আরও দেখা যাবে অভিনেত্রী জেসিকা চ্যাস্টেইনকে।