চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিনা কর্তনে সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পায় আবু শাহেদ ইমনের ‘জালালের গল্প’। অবশেষে ঠিক হলো ৪ সেপ্টেম্বর দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
অনুষ্ঠানে সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্মসের অন্যতম কর্ণধার ফরিদুর রেজা সাগর সিনেমাটির আন্তর্জাতিক সাফল্যের কৃতিত্ব দিলেন নির্মাতাকে।
তিনি বলেন, “ইমপ্রেস টেলিফিল্ম বরাবরই নতুনদের প্রাধান্য দেয়। সুযোগ করে দেয় ভালো কিছু, বিশেষ কিছু করার। সেই ধারাবাহিকতা ভঙ্গ করেননি আবু শাহেদ ইমন। তার মতো মেধাবী পরিচালকদের পাশে সব সময় থাকবে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। আশা রাখি তাকে দেখে তরুণ নির্মাতারা উদ্বুদ্ধ হয়ে ভালো ছবি নির্মাণে অগ্রণী হবেন।”
ইমন বললেন, একটি সৎ সিনেমা নির্মাণই ছিল তার লক্ষ্য।
“আমি চেষ্টা করেছি নিজের সবটুকু দিয়ে একটি সৎ সিনেমা নির্মাণের। ‘জালালের গল্প’ আপনাদের ছবি। তবে জানি না কতটুকু পেরেছি? তবে হ্যাঁ, প্রচলিত ধাঁচের গান-নাচবিহীন এই ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখলে, আশা রাখি আপনারা নিরাশ হবেন না। দেশীয় সিনেমার নিজস্ব ভাষা আছে। সেটা বোঝানোর চেষ্টা করেছি এই সিনেমার মাধ্যমে।”
ইমন আরও বললেন, “আন্তর্জাতিকভাবে ছবিটি প্রশংসিত হয়েছে, পুরস্কৃত হয়েছে। তবুও আমার পরিশ্রম তখনই সার্থক হবে যখন ছবিটি দেশের দর্শকদের কাছে সমাদৃত হবে।”
‘জালালের গল্প’ সিনেমার জন্য পর্তুগালের আভাঙ্কা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জেতা অভিনেতা মোশাররফ করিম সিনেমাটি নিয়ে বললেন, ‘চরিত্রহীন’ চরিত্রে অভিনয় করতে তার নাকি ‘ভালোই লাগে’!
সিনেমার অন্যতম অভিনেতা তৌকির আহমেদ বললেন, "চিত্রনাট্য দেখেই অনুমান করেছিলাম, ভালো কিছু করতে যাচ্ছি, ইন্ডাস্ট্রিকে ভালো কিছু দিতে যাচ্ছি। তরুণ হিসেবে ইমন দারুণ পরিচালনা করেছেন ছবিটি। মূলত তাকে দেখেই আমি অনুপ্রাণিত হয়ে আমার চতুর্থ ছবি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিই। ইমনদের মতো তরুণরা নির্মাণে এগিয়ে এলে ইন্ডাস্ট্রি অনেক মানসম্মত কাজ পাবে। দর্শক আবার হলমুখী হবে।"
ইমন গ্লিটজকে জানালেন, ২৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘জালালের গল্প’।
ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন তৌকির আহমেদ, মোশাররফ করিম, মৌসুমী হামিদ, নূরে আলম নয়ন, শর্মীমালা, মিতালি দাশ, ফজলুল হক, আহমেদ গিয়াসসহ আরো অনেকে। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নবাগত আরাফাত রহমান ও মোহাম্মদ ইমন। ছবিটির সঙ্গীতায়োজন করেছে ‘চিরকূট’।
ইমন বলছেন, “জালালের তিন বয়সের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘জালালের গল্প’। মূলত এই তিন বয়সে বাংলাদেশের তিন ধরনের সামাজিক পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকতার গল্প চলচ্চিত্রটিতে উঠে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের সমাজে জালালরা বরাবরই পার্শ্ব-চরিত্র। আর এই পার্শ্ব-চরিত্রকে সমাজ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সেটাই গল্পের মূল বিষয়বস্তু।”