‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ সিনেমার সেটে ভাবনা গ্লিটজকে বললেন, “সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্র আমি। নয়নতারাই গল্পের প্রাণ, গল্পের কেন্দ্রবিন্দু , সিনেমার মুখ্য চরিত্র। আমার চরিত্রটির কথা কেউ বলছে না। সবাই মেতে আছে পরমব্রতকে নিয়ে। গণমাধ্যমের নজরও তার দিকে। কেউ জানলোই না, সত্যি কে প্রধান চরিত্রে কাজ করছে!”
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে জানতে চাইলে ভাবনা বলেন, “আমার কাছে পরমকে খুব আলাদা কিছু মনে হয়নি। নাটকে মোশাররফ করিম, সজল, নাঈমসহ অন্য অভিনেতাদের মতোই মনে হয়েছে পরমকে। পরম বাঙালি, তার চিন্তাধারা, ভাবনা সবকিছুই তো আমাদের মতো। তাকে আলাদা করে ভাবতে হয়নি আমার।”
নিজের চরিত্রটি নিয়ে বললেন, “বাস্তবে ভাবনা অনেক বেশি সহজ-সরল। সে হুটহাট কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কিন্তু নয়নতারা ঠিক তার উল্টো চরিত্র। নয়নতারাকে হুট করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।”
“আমার ক্যারিয়ারে আমি খুব বেশি কাজ করিনি। কিন্তু যে কটা কাজ করেছি, সবগুলোই বেশ নিরীক্ষাধর্মী। চরিত্র নিয়ে আমি খুব সিরিয়াস। যে চরিত্রটি করতে চাই, তা অবশ্যই নাটক বা সিনেমার মুখ্য চরিত্র হতে হবে। আমি কখনও পার্শ্ব-চরিত্রে কাজ করতে চাই না, গুরুত্বপূর্ণ হলেও নয়।”
টালিগঞ্জের সিনেমাতে অভিনয়ে আপত্তি নেই তার। তবে চরিত্র হতে হবে পছন্দমতো।
“আমি অন্য দেশের অপ্রধান চরিত্রের অভিনেত্রী হতে পারব না। টালিগঞ্জের সিনেমাতে যদি অভিনয় করতেই হয়, তবে আমি মুখ্য চরিত্রেই অভিনয় করব। টালিগঞ্জের দর্শক আগে ভাবনাকে চিনুক, জানুক। তারপরই না হয় ভেবে দেখবো। আমি আগে আমার দেশের অভিনেত্রী হতে চাই। অন্য দেশে গিয়ে হন্যে হয়ে তাদের সিনেমাতে অভিনয়ের সুযোগ আমি খুঁজবো না। পশ্চিমবঙ্গে আমারও ভালো যোগাযোগ আছে। কিন্তু তাই বলে অভিনয়ের সুযোগ খুঁজতে তাদের হাতে-পায়ে ধরিনি। সবার আগে আমার দেশ, আমার সম্মান।”
ছবি: তানজিল আহমেদ জনি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম