রবীন্দ্রনাথই স্বপ্নের পুরুষ: নূনা আফরোজ

অভিনেত্রী, নির্দেশক নূনা আফরোজের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জড়িয়ে আছেন ওতপ্রোতভাবে। কেবল রবীন্দ্রনাট্য নিয়েই তার দল প্রাঙ্গনেমোরের কারবার। প্রথা ভেঙ্গে রবীন্দ্রনাথকে আধুনিক আঙ্গিকে উপস্থাপন করে সমালোচকের প্রশংসাও কুড়িয়েছেন।

তানজিল আহমেদ জনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2015, 08:26 AM
Updated : 6 August 2015, 08:26 AM

সম্প্রতি গ্লিটজের মুখোমুখি হয়েছিলেন নূনা আফরোজ।

গ্লিটজ: সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কোন মাধ্যমের সঙ্গে প্রথম সখ্যতা গড়ে উঠেছিল?

নূনা: আমার কৈশোরের পুরোটাই কেটেছে বরিশালে। সেই সময়ে বরিশাল নাটক সংগঠনের একটি আবৃত্তি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হই। আবৃত্তির মাধ্যমেই মূলত সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আমার পথচলার শুরু। এরপর আমি বরিশাল নাটক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হই। দলে যোগদানের পরে ১৯৮৮ সালে লিখিন সেনের নিদেশনায় ‘লাল সালু’ নাটকে অভিনয় করি। পরে একই দলের জন্য ‘সমাজ’ নাটকেও অভিনয় করি।

গ্লিটজ: আবৃত্তি ছেড়ে থিয়েটারের দিকেই ঝুঁকেছিলেন কেন?

নূনা : স্কুলে পড়ার সময় আমার মনের ভিতরে সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি একটা ভালোবাসা তৈরি হয়েছিলো। বরিশাল নাটকের জন্য কাজ করতে গিয়ে একটা সময় নিজের অজান্তেই আবৃত্তির চেয়ে বেশি থিয়েটার আমাকে তার নিজের দিকে টেনে নিলো।

গ্লিটজ: নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হলেন কেন?

নূনা: অনন্ত হিরা-কাজী রুমা-ঝন্টু তারা তিনজনই আমার আগে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলো। আমার বন্ধুরা এই দলে যোগদান করেছে , তাই কোনো বাছবিচার না করেই আমি নাগরিকের সঙ্গে যুক্ত হই।

গ্লিটজ: ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ নাটকে কুসুম ও চামেলী চরিত্র দুটোকে লাকী ইনাম ও সারা যাকেরের মতো দুইজন শক্তিশালী অভিনেত্রী মঞ্চরুপ দিয়েছেন। পরবর্তীতে এই চরিত্র দুটোতে অভিনয় করতে গিয়ে কতটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন?

নূনা : আমি প্রথমে কুসম ও পরে চামেলী চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। চরিত্রগুলোতে অভিনয় করতে গেলে চাপ অবশ্যই থাকে। কুসুম চরিত্রে লাকী ইনাম ও চামেলী চরিত্রে সারা যাকের- তারা উভয়ই অসাধারন অভিনয় করেছেন। তাদের দুজনের চেয়ে ভালো অভিনয় করা নিয়ে কোনো টেনশন ছিল না। আমি চেয়েছিলাম আমার মতো করে চরিত্র দুটিকে রূপায়ন করতে যেন আমার অভিনয় দেখে কেউ বলতে না পারে যে আমার চেয়ে সিনিয়র দুই অভিনেত্রী ভালো করেছেন।

গ্লিটজ: আপনার কি মনে হয় কুসুম ও চামেলী চরিত্রে অভিনয়ের চ্যালেঞ্জে আপনি জয়ী হতে পেরেছিলেন?

নূনা : বোধহয় পেরেছিলাম। দশর্ক বা নাগরিকের অগ্রজ অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছিলেন।

গ্লিটজ: রবীন্দ্রনাথের কোনো একটি গান থেকেই নাকি আপনার দলের নামকরণ হয়েছে?

নূনা: আমাদের দেশে নাটকগুলোর মধ্যে রবীন্দ্রনাথের নাটকগুলোকে সবার্ধিক গুরুত্ব দেওয়ার ভাবনা প্রথম থেকেই ছিলো। আমরা বিশ্বাস করি বাংলা নাটকের চর্চায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হতে পারেন প্রধান অবলম্বন। তবে আমরা রবি ঠাকুরের ‘প্রাঙ্গনেমোর শাখায়’ গানের কথা থেকে দলের নাম করণ করি।

গ্লিটজ: নাগরিক থেকে বের হয়ে এসে প্রাঙ্গনেমোর দল গঠনের কারণ কি ছিল? তাহলে কি নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় আপনার সৃষ্টিশীল কাজ ও অভিনয় বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল?

নূনা : নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ নাটকের চামেলী ও কুসুম চরিত্রে অভিনয় করা ছাড়াও ‘অচলায়তন’, ‘কালসন্ধ্যা’, ‘স্বপ্নবাজ’, ‘রথের রাশি’ ইত্যাদি নাটকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোতে আমি অভিনয় করেছি। সেখানে আমি কাজের জন্য যথেষ্ট জায়গা পেয়েছি, যা আমার যোগ্যতা ও কাজ দিয়েই অর্জন করেছি। কিন্তু আমার সৃষ্টির তাড়না মেটানোর জন্য আরও বেশি জায়গা দরকার ছিল। আমার মনে হয়েছে আমার আরও কিছু করার আছে তাই নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় থেকে ইস্তফা দিয়ে প্রাঙ্গনেমোর গঠন করি।

গ্লিটজ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে কাজ করলে খুব সহজেই খ্যাতি মেলে সেই কারণে কি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে?

নূনা: এখানে খ্যাতি কিংবা ফোকাসে আসার কোনো ভাবনাই মাথায় নেই। আজ অনেকেই বলছেন, রবীন্দ্রনাথের নাটক করলে বেশি ফোকাস হবে। কিন্তু আমরা ২০০৩ সালে যখন রবীন্দ্রনাথের নাটক নিয়ে কাজ শুরু করেছি তখন রবীন্দ্রনাথের নাটক নিয়ে এত আলোচনা ছিল না। রবীন্দ্রনাথের নাটক নিয়ে ফোকাসে আসার বিষয়টি তার ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে এসে শুরু হয়েছে।

সে সময়ে রবীন্দ্রনাথের নাটক নিয়ে একটা জাগরণের শুরু হয়েছে। তখন অনেকে বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করলেও একমাত্র প্রাঙ্গনেমোর দলই রবীন্দ্রনাথের নাটক নিয়ে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করেছে।

গ্লিটজ: রবীন্দ্রনাথের কোন নারী চরিত্র আপনার জীবনের সঙ্গে মিলে যায়?

নূনা : ভেবে দেখি নি তো! এরকম ভাবনাও আমার মাথায় আসে নি। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি প্রতিটি নারী চরিত্রই অনবদ্য। নিজেকে বিনোদিনী, নন্দিনী, এলার সঙ্গে মেলাতে ইচ্ছে করে। বলতে গেলে প্রতিটি নারী চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে ইচ্ছে করে। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্ট চরিত্রের মধ্যে এত ব্যঞ্জনা থাকে যে একজন মানুষের জীবনে এত ব্যঞ্জনা থাকাটাও কঠিন।

গ্লিটজ: শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও পরিনত বয়স –নূনার চার অধ্যায়ে রবীন্দ্রনাথ কেমন ছিলেন?

নূনা: আমার কাছে রবীন্দ্রনাথ সব সময় স্বপ্নের পুরুষ। তাকে নিয়ে কোনো আলোচনায় কখনও নিরপেক্ষভাবে আলোচনা করতে পারি না। একথা বলতেও দ্বিধা নেই যে তার প্রতি আমার বেশ অন্ধত্বও রয়েছে। আমি স্বীকার করি এটা তার প্রতি আমার একটা দূর্বলতা।

গ্লিটজ: রবি ঠাকুরের কোন গল্প বা উপন্যাস পড়ে অভিনেত্রী হওয়ার আগেই সেই নায়িকা চরিত্রে নিজেকে দেখার ইচ্ছে হয়েছিলো?

নূনা : আমার পড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম উপন্যাস ‘চার অধ্যায়’ আর আমার প্রথম কাজই 'চার অধ্যায়'কে নিয়ে। তবে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন ‘চার অধ্যায়’ নিয়ে আমার কাজ করার একটা ইচ্ছা ছিল। তবে তার কোনো গল্পের নায়িকা হয়ে তাকেই আমার বিপরীতে কখনও চাইনি।

গ্লিটজ: ‘স্বদেশী’ নাটকের নির্দেশনা দিতে গিয়ে চ্যালেঞ্জগুলো কি ছিলো? আর কেন এই নাটকটিকেই বেছে নিলেন?

‘রক্তকরবী’ নাটকে ‘নন্দিনী’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নূনা আফরোজ। ছবি—তানজিল আহমেদ জনি, বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকম

নূনা :
‘চার অধ্যায়’ উপন্যাসটি আমার খুব প্রিয়। আর বাহ্যিক অভিনয়ও আমাকে খুব বেশি টানে। আমার আগে একমাত্র শম্ভু মিত্র ছাড়া আর অন্য কারো ক্ষেত্রে ‘স্বদেশী’ নাটকের সফল মঞ্চায়ন দেখা যায়নি। সেদিক থেকে আমার একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। যেহেতু খুব বেশি বাহ্যিক অভিনয় ও সংলাপনির্ভর উপন্যাস এটি, সেটিকে মঞ্চায়নের জন্য নাট্যরূপ দেয়াটাই আমার কাছে চ্যালেঞ্জ মনে হয়েছিল। মূলত সে কারনেই ‘চার অধ্যায়’ করা।

গ্লিটজ: ‘চার অধ্যায়’ উপন্যাস নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে উপন্যাস থেকে সত্যি বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন?

নূনা: 'চার অধ্যায়'-এর নাট্যরুপ দেওয়ার সময় রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য নাটক থেকে আমি বেশ প্রভাবিত হয়েছি। রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’, ‘অচলায়তন’, ‘বিসর্জন’ নাটক থেকে পাওয়া বিষয়গুলো ‘চার অধ্যায়ে’ তিনি করেননি। এটিকে নাট্যরুপ দিতে গিয়ে অন্যান্য নাটকগুলোতে তিনি যা করেছেন আমি তা ‘চার অধ্যায়ের’ ক্ষেত্রে করেছি। তবে এটা উপন্যাস বলেই হয়তো আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে যা নাটক হলে হয়ত সম্ভব হতো না।

গ্লিটজ: সেক্ষেত্রে কোনো সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়নি?

নূনা: আজ অবধি ‘স্বদেশী’ নাটক নিয়ে কেউ কিছু বলেনি । কেউ প্রশ্ন করেনি নাটকের শেষ কেন একটু অন্যরকম হলো। যদিও চার অধ্যায়ে অথিন ও এলার মধ্যে অথিনের মৃত্যু না থাকলেও আমি অথিনের মৃত্যুদৃশ্য এনেছিলাম। আমি কিন্তু মূল উপন্যাস থেকে বের হয়ে আসিনি। আর আমার মনে হয় না আমি রবীন্দ্রনাথের ভাবনার খুব বেশি বাইরে গিয়েছি। তবে এমনও হতে পারে ‘চার অধ্যায়’ মানুষ খুবই কম পড়েছে।

গ্লিটজ: ‘রক্ত করবী’ নাটক করার সময় কোন ভাবনাগুলো মাথায় রেখেছিলেন?

নূনা : সাধারণত কোনো চরিত্রের চরিত্রায়নের ক্ষেত্রে যে কোনো একটি ফরমেটে করা হয়। কিন্তু আমি নন্দিনীকে মিক্সড করে করেছি। আমি অভিনয়প্রধান নাটককেই বেশি গুরুত্ব দেই। তাই নন্দিনী চরিত্রের ক্ষেত্রে আমি দুটো ভাবনা মাথায় রেখে ছিলাম। যেখানে আমি নন্দিনী চরিত্রে স্টাইলিশ অ্যাকটিং ও ক্যাজুয়াল এই দুটোর মিশ্রণ ঘটিয়েছি। ফলে কখনও নন্দিনীকে মনে হবে পাশের বাড়ির মেয়েটি আবার কখনও মনে হবে মেয়েটি সব কিছু থেকে আলাদা।

গ্লিটজ: ‘রক্ত করবী’ উপমহাদেশের জনপ্রিয় ও বহুল মঞ্চায়িত একটি নাটক। সেক্ষেত্রে অন্য কোনো দলের মঞ্চায়িত ‘রক্তকরবী’ আপনার উপর কোনো ধরনের প্রভাব কি ফেলেছে?

নূনা : এ বিষয়টি আসলে দর্শক ভালো বলতে পারবেন। তবে তৃপ্তি মিত্র অভিনীত নন্দিনী চরিত্রের অডিও আমি শুনেছি। এই অডিওটি শোনার পরে নিজের মতো করে সব কিছুকে ছাপিয়ে অভিনয় করা খুবই কঠিন। তাই আমার ভেতর তার প্রভাব পড়ে যাবে কি না সেই ভয় তো ছিলই। যদিও তার অভিনয় আমি দেখিনি, তবে তার কন্ঠ আমাকে কন্ঠের কাজ সম্পর্কে ভাবিয়েছে। কিন্তু আমি তাকে অনুকরণ করিনি বরং এই বিষয়টাকে পাশ কাটিয়ে আমার মতো করে নন্দিনী চরিত্রটি করার চেষ্টা করেছি।

গ্লিটজ: ‘শ্যামাপ্রেম’ নাটক নিয়ে কিছু বলুন?

নূনা : এই নাটকে আমি শুধুমাত্র শ্যামা চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমার আগে আমাদের দলের নাট্যকর্মী চৈতালী সমাদ্দার নিয়মিতভাবে ৪৪টি মঞ্চায়নে শ্যামা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গে চলে যাওয়ার পর কিছুদিন এর মঞ্চায়ন বন্ধ ছিলো। পরবর্তীতে ২০১০ সালে আমাদের দলের অষ্টম বর্ষ পূর্তিতে আমি শ্যামা চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করি।

গ্লিটজ: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ভাবনার জায়গায় কতটুকু তফাত রয়েছে এবং কোথায় রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কাজ হচ্ছে?

নূনা: এখনকার সময় থিয়েটারে রবীন্দ্রনাটকের চর্চা কলকাতার তুলনায় আমাদের দেশেই বেশি হয়। শুধু তাই নয় আমরা যথেষ্ট ভালো মানের কাজও করে থাকি। আর পশ্চিমবঙ্গের নাটকগুলোর মঞ্চায়নের ক্ষেত্রে নিদের্শনার জায়গা থেকে কিছু কাজ দেখে খুবই অনুপ্রাণিত হই আবার কিছু কাজ দেখি খুবই হতাশ হই। তাদের নাটক থেকে আমাদের দেশের নাটকগুলো যথেষ্ট মানসম্মত জায়গায় আছে।

গ্লিটজ: সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথের কাজগুলোকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন?

নূনা: রবীন্দ্রনাথের কোন কাজগুলো সমসাময়িক নয় বলুন তো! ‘শেষের কবিতা’র  কথাগুলো আজকের সময়ে অনেকবার পড়ার পরেও অনুধাবন করা যায় না আসলে কোন অর্থে কথাগুলো বলা হয়েছে। প্রেমের কাহিনির কি অভাব রয়েছে! সেক্ষেত্রে এখনও কেন 'শেষের কবিতা' এত জনপ্রিয়? কারণ, তা সমসাময়িক। অন্যদিকে ‘রক্তকরবী’ নাটকে রবীন্দ্রনাথ যা বলতে চেয়েছেন তা যুগে যুগে কি আজও ঘটছে না? শত বছর পরেও রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়লে তখনও মনে হবে তা সমসাময়িক।

গ্লিটজ: রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নতুন কোন কাজ করছেন কি?

নূনা : রবীন্দ্রনাকে নিয়ে আমরা ‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’ নামে নতুন একটি নাটক মঞ্চায়ন শুরু করেছি। এ গল্পে রবীন্দ্রনাথকে চারটি বয়সে দেখা যাবে, যেখানে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার সৃষ্টি, ব্যক্তিগত কাজ ইত্যাদি নিয়ে কথা বলবেন।

গ্লিটজ: টেলিভিশনের জন্য ‘শেষের কবিতা’ নির্মাণ করলেন কেন?

নূনা : প্রাঙ্গনেমোর এটি নির্মাণ করেনি। বিটিভি অনন্ত হিরাকে ‘শেষের কবিতা’কে টেলিভিশনের জন্য নাট্যরুপ দিতে বলেছিল। আর খুব অল্প সময়ের মধ্যে লাবণ্য ও অমিত খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য ছিল। কাস্টিং যেহেতু অনন্ত হিরার হাতে ছিল আর এই নাটকটি আমরা অনেক দিন ধরেই করছি তাই আমাদের দলের সদস্যরাই এই নাটকে অভিনয় করেছে।

গ্লিটজ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালনা করার কোনো সম্ভাবনা কি রয়েছে?

নূনা : বর্তমানে ‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’ মঞ্চের জন্য প্রস্তুত করে পরবর্তীতে সিনেমার জন্য এটাকে নিয়ে কাজ করার একটা ভাবনা আছে। এটা একটু অন্য ধারার  কাজ হবে বলে আশা করি।