কঙ্কনার রবি পঠন: ইংরেজিতে পড়েছেন 'শেষের কবিতা'

অভিনেত্রী কঙ্কনা সেন শর্মা খাঁটি বাঙালি। পর্দায়ও বাঙালি ললনার রূপায়নে অনন্যা তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নতুন বৌঠান কাদম্বরীর চরিত্রে পর্দায় হাজির হয়েছেন, এবার আসছেন 'শেষের কবিতা'র লাবণ্য হয়ে। কিন্তু ‘শেষের কবিতা’ তিনি পড়েছেন ইংরেজিতে।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2015, 03:36 AM
Updated : 6 August 2015, 03:43 AM

ভারতীয় দৈনিক আজকালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কঙ্কনা বলেন, “আসলে রবীন্দ্র–সাহিত্যের সঙ্গে আমার বিশেষ পরিচিতি নেই। আমি যা কিছু পড়াশোনা করেছি, সবই ইংরেজিতে। ইংলিশ লিটারেচর। শেষ পর্যন্ত ইংরেজিতেই ‘শেষের কবিতা’ পড়ে ফেললাম। আর তখনই লাবণ্যকে ভাল লেগে গেল।”

কঙ্কনা আরও বলেন, “মনে হল লাবণ্য যেনো আমার মতোই। ‘কাদম্বরী’কেও আমার ভাল লেগেছে। তবে লাবণ্য আমার অনেক বেশি আপন।”

তিনি আরও বলেন, “আবার যদি কোনও রবীন্দ্রনাথের লেখা চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাই, করবো। আসলে আমি একটু পিরিয়ড ফিল্ম পছন্দ করি। সেই সময়কার জুয়েলারি বা কস্টিউমে আমাকে বেশি ম্যাচ করে যায়। শুধু এই দুটি ছবি নয়, ‘ইতি মৃণালিনী’ এবং ‘গয়নার বাক্স’তেও পুরনো দিনের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আসলে সেই সময়কার কথা বলার ধরন বা ধীরে ধীরে মুভমেন্টের সঙ্গে আমি ভাল কানেক্ট করতে পারি।”

'শেষের কবিতা'র মাধ্যমে চতুর্থবারের মতো রাহুল বোসের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন কঙ্কনা। এবারেরটি বাংলায়, এর আগে ‘মি. অ্যান্ড মিসেস আয়ার’, ‘ফিফটিন পার্ক অ্যাভিনিউ’ এবং ‘দিল কি বাতি’ - তিনটি হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

‘শেষের কবিতা’ সিনেমার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র কেটি মিত্তির ওরফে কেতকী মিত্র। অমিতের প্রত্যাখানে যিনি এক বিলাসী, স্বাধীনচেতা এবং ঈর্ষাকাতর নারীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। কেটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। 

সোহা-কুনালের বিবাহত্তোর অনুষ্ঠানে কঙ্কনা সেন শর্মা। ছবি: আইএএনএস

সিনেমা প্রসঙ্গে নির্মাতা সুমন বলেন, “সিনেমাতেও সময়টা অপরিবর্তিত রেখেছি। আর ওই যে বললাম না, দূরের জিনিসের প্রতি একটা স্বাভাবিক আকর্ষণ থাকে, ছবিতেও সেই ব্যাপারটা রেখেছি। বেশিরভাগই লং শট। শিলঙে এমন একটা জায়গায় শুট হয়েছে যেটা অধিকাংশ মানুষের কাছেই অপরিচিত। তা ছাড়া ছবির কস্টিউম, মিউজিক সবেতেই একটা আধুনিকতার ছাপ রাখা হয়েছে। তবে কেটির চরিত্রটাকে একটু পাল্টেছি। ছবিতে ও উপন্যাসের মতো ভিলেন নয়।”

‘শেষের কবিতা’ রবীন্দ্রনাথের অন্যতম জনপ্রিয় একটি উপন্যাস। প্রকাশের পর থেকে এখনও নতুন পাঠক তৈরি করে চলেছে এটি। সাম্প্রতিক সময়ে দর্শক তৈরির চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের দুটি থিয়েটার দল প্রাঙ্গণেমোর ও থিয়েটার আর্ট ইউনিট।

এ উপন্যাসের প্রথম চিত্রায়ন করেন মধু বোস, তার সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৫৩ সালের শেষদিকে। অভিনয় করেন-- ছবি বিশ্বাস, সাধনা বোস, নির্মল কুমার, দিপ্তী রায়। বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘শেষের কবিতা’র প্রথম চিত্রায়নে লাবণ্য চরিত্রে কবি সুরাইয়া খানম এবং অমিত চরিত্রে সৈয়দ আহসান আলী সিডনি অভিনয় করেন। পরবর্তীতে দুই বাংলার রেডিওতে কণ্ঠনাটক এবং টিভিতে নাটক ও টেলিফিল্ম হয়েছে।

সুমন মুখোপাধ্যায় শেষের কবিতা নির্মাণ শুরু করেন ২০১৩ সালে। সিনেমাটি মুক্তি পাবে ৭ অগাস্ট।