রিয়ালিটি শোয়ের মাধ্যমে উঠে আসা এই অভিনেত্রী বলেন, “নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যেও যোগ্যতা রয়েছে। তাদের অভিনয় প্রতিভা বিকশিত হওয়ার জন্য যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও সময় দরকার, তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্ত কম। আমরা যারা নতুন, তাদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলে, সহযোগিতা করা হলে, তারাও নিজেদের প্রতিভার প্রমাণ রাখতে পারি।”
কঠিন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজের মেধার প্রমাণ দিতে চান এই নবাগতা।
“একসময় আমি অভিনয় জানতাম না, এই জগতের কাউকে সেভাবে চিনতাম না। কিন্তু ধীরে ধীরে আমি নিজের অবস্থান তৈরি করছি। অভিনয় রপ্ত করছি। আমি জানি, ভালো চরিত্র পেতে কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই যেতে হবে আমাকে। তা যতই কঠিন হোক না কেন, আমি লড়তে প্রস্তুত। সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকলে আমরা আরও বেশি ভাল করতে পারব।”
২০১২ আসরের এই লাক্স সুপারস্টার একই ব্যাচের রানার আপ প্রসূন আজাদ, সামিহা হোসেন খানের থেকে বেশ পিছিয়েই রয়েছেন। এ বিষয়ে বললেন, “আমি এত তাড়াহুড়ো করতে চাই না। আমি খুব অস্থির নই। আমি নিজেকে গুছিয়ে নিতে চাই আরও ভালো করে। হুট করে কোনো বিষয় ভালো লাগার ব্যাপার আমার মধ্যে নেই। আমি সব দেখে-বুঝে তবেই কাজ করি।”
ঠিক কেমন চরিত্রে স্বচ্ছন্দ্য - এমন প্রশ্নের জবাবে বললেন, নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করাটা বেশ উপভোগ করেন।
‘ইনক্রিনিমেন্ট’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘ট্রেড ফেয়ার’, ‘হয়তো তোমারই জন্য’সহ বেশ কটি টিভি নাটকে অভিনয় করলেও সামিয়া জানালেন, তার স্বপ্নের চরিত্র এখনও অধরাই থেকে গেছে। নিজের অভিনীত বেশ কিছু নাটকের চরিত্রও একঘেয়ে লেগেছে মন্তব্য করেন।