'বাহুবালি'র রেকর্ডনামা

তেলেগু সিনেমা ‘বাহুবালি’ নিয়ে দর্শকের উন্মাদনা চোখে পড়েছে সিনেমাটির দুনিয়া কাঁপানো আয়ের হিসাবে। বক্স-অফিসে খাতা খোলার আগে থেকেই রেকর্ড গড়া শুরু করে সিনেমাটি।

গ্লিটজ ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2015, 11:17 AM
Updated : 4 August 2015, 02:17 PM

১০ হাজার রুপি মূল্যের টিকিট

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ‘বাহুবালি’ নিয়ে উন্মাদনা এতটাই তুঙ্গে উঠেছিল যে দক্ষিণ ভারতের দর্শকরা ব্ল্যাকে ১০ হাজার রুপি দিয়েও টিকিট কিনতে রাজি হয়েছিলেন। মুক্তির প্রথম দিন থেকেই সিনেমা হলগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।

চার সপ্তাহে ৫০০ কোটি

মুক্তির পর মাত্র চার সপ্তাহে ৫০০ কোটি রুপি আয় করেছে ‘বাহুবালি’। এই হিসাব শুধু ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারের। দক্ষিণী সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আয় করে ‘বাহুবালি’ পেছনে ফেলেছে রজনিকান্তের ‘এনথিরান’কেও, যা আয় করেছিল ২৮৩ কোটি রুপি। এছাড়া মুক্তির প্রথম দুদিনেই সারা বিশ্বে সিনেমাটি আয় করেছে ১০০ কোটি রুপি, যা মাত্র ৫ দিনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ কোটিতে আর ৮ দিনে ৩০০ কোটিতে।

প্রথম দিনে বাজিমাত

মুক্তির দিনই বিশ্বব্যাপী ৬০ কোটি রুপি আয় করেছিল ‘বাহুবালি’ আর বিশ্ব বাজারে আয় হয় ৫০ কোটি। এখন পর্যন্ত কোনো ভারতীয় সিনেমার জন্য দুটোই ছিল প্রথমদিনে সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড, যা ভেঙ্গেছে শাহরুখ খানের ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’-এর প্রথম দিনের সংগ্রহকে।

৩৫ ঘণ্টায় ১০০ কোটি

বলিউডে ১০০ কোটি আয় করা ফিল্মের অভাব না থাকলেও ‘বাহুবালি’র মত দ্রুততম সময়ে এই সীমানা পার করতে পারেনি কোনো সিনেমাই। যেখানে বলিউডের রথী-মহারথীদের সিনেমা ১০০ কোটির ক্লাবে যোগ দিতে সময় নেয় কমপক্ষে ৩-৪ দিন, সেখানে ‘বাহুবালি’র সময় লেগেছে মাত্র ৩৫ ঘণ্টা!

গিনেস বুকে ‘বাহুবালি’

সবচেয়ে বড় পোস্টার বানিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছে রাজামৌলির ‘বাহুবালি’। ভারতের কোচির এক মাঠজুড়ে বিছানো এই বিশাল পোস্টারটির ছবি ফেইসবুকে দেয়া হয়।

সবচেয়ে বড় বাজেট

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেটে নির্মিত সিনেমা ‘বাহুবালি’। পুরো ২৫০ কোটি রুপি দিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। কারিগরি দিক থেকে ভারতের যাবতীয় সিনেমাকে পেছনে ফেলেছে ‘বাহুবালি’। বিশাল সেট এবং বিপুল পরিমাণ কলাকুশলীর সমন্বয়ে এতে দেখা গেছে এমন সব অ্যাকশন দৃশ্য, যা পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রকেও হার মানায়। শুটিংয়ের জন্য এক হাজার ঘোড়া রাজস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়, অলংকার থেকে শুরু করে যুদ্ধের দৃশ্যে ব্যবহৃত নানা অস্ত্রও তৈরি করা হয়। সিনেমাটির গানগুলো এতটাই ব্যয়বহুল ছিল যে ইউটিউব কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এগুলো প্রকাশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

প্রতিটি দৃশ্যের নিখুঁত পরিচালনা

‘বাহুবালি’র পেছনে শুধু বিপুল পরিমাণ অর্থই খরচ করেননি রাজামৌলি, এর প্রতিটি দৃশ্য ধরে-ধরে পরিচালনা করেছেন তিনি। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত ‘বাহুবালি’র জন্য প্রায় ২০ হাজার অস্ত্র নির্মাণ করা হয়, কয়েকটি বিশেষ দৃশ্যের জন্য ২ হাজার জুনিয়র আর্টিস্টকে ব্যবহার করা হয়েছিল। তেলেগু, তামিল, মালায়াম এবং হিন্দি-চারটি ভাষায় নির্মিত হয়েছে ‘বাহুবালি’।