ইউটিউবে প্রকাশ পাওয়া ‘অহল্যা’ সমালোচক-দর্শক দুই শ্রেণিরই মন কাড়লেও অনেকেই এর মিল খুঁজে পেয়েছেন সত্যজিৎ রায়ের প্রফেসর শঙ্কু সিরিজের ‘আশ্চর্য পুতুল’ গল্পটির সঙ্গে। তবে সিনেমার নির্মাতা ও গল্পকার সুজয় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রামায়ণের গৌতম মুনির শাপিত স্ত্রী অহল্যাই ‘অহল্যা’র অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
রামায়ণে আছে, দেবরাজ ইন্দ্র জাদুবলে গৌতম মুনির বেশ ধরে তার স্ত্রী অহল্যার কাছে এসেছিলেন। দুজনকে হাতে নাতে ধরে ফেলে কঠিন শাপ দেন মুনি। স্বামীর অভিশাপে পাথরের মূর্তি বনে যান অহল্যা।
ওদিকে ‘আশ্চর্য পুতুল’ গল্পে প্রফেসর শঙ্কু বন্ধুর খোঁজে এক ভাস্করের বাড়িতে উপস্থিত হলে নিজেই এক সময় আবিষ্কার করেন পুতুল হয়ে বন্দী জীবন কটাচ্ছেন তিনি। পরে অবশ্য নিজের বৈজ্ঞানিক বুদ্ধির বদৌলতে ঠিকই নিজেকে বাঁচাতে পেরেছিলেন তিনি।
কেবল তিনটি চরিত্র নিয়ে তৈরি এই চলচ্চিত্রে প্রথম বারের মতো বাংলা বলতে শোনা গেছে দক্ষিণী অভিনেত্রী রাধিকার মুখ থেকে। আবেদনময়ী পরস্ত্রীর ভূমিকায় তার অভিনয় সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে বাংলা উচ্চারণে কিঞ্চিৎ জড়তা চোখ এড়ায় না শেষ পর্যন্ত।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় গৌতম সাধুর চরিত্রে ছিলেন একদম মানানসই। সেই সঙ্গে সুজয় ঘোষ কুশলী পরিচালনা একটি থ্রিলার শর্টফিল্ম হিসেবে ‘অহল্যা’কে উপভোগ্য করে তোলে।