অভিনেত্রী লেনা ডানহামের ওয়েবসাইট ‘লেনি’তে এবার একটি খোলা চিঠি লিখে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অস্কারবিজয়ী এই তারকা।
চিঠিতে লরেন্স জানান, দীর্ঘদিন ধরেই পারিশ্রমিক বৈষম্যের ব্যাপারটি তাকে কষ্ট দিচ্ছিল। কিন্তু সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে এই আশঙ্কায় মুখ খোলেননি তিনি।
২০১৪ সালে সনি পিকচার্সের কর্মকর্তাদের ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ায় ‘আমেরিকান হাসল’ সিনেমায় কলাকুশলীরা কত পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তা আলোয় চলে আসে। এতে দেখা যায় ব্র্যাডলি কুপার, ক্রিশ্চিয়ান বেইলের চেয়ে অনেকটাই কম ছিল এমি অ্যাডামস ও লরেন্সের পারিশ্রমিক।
"আমি স্বীকার করছি, ঐ মুহূর্তে আমি ভাবছিলাম বেশি পারিশ্রমিক চাইলে নির্মাতারা আমাকে খারাপ চোখে দেখবেন। তাই আমি উঁচু কোনো দর হেঁকে বসিনি। কিন্তু যখন ইন্টারনেটে আমি ফাঁস হয়ে যাওয়া ইমেইলটা দেখলাম, তখন আমি বুঝলাম আমার পুরুষ সহশিল্পীরা আসলে এতকিছু নিয়ে ভাবেন না।"
লরেন্স আরও জানান, পারিশ্রমিক ও লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে কথা বলার পর তিনি অনেক পুরুষ সহশিল্পীর বিরাগভাজন হয়েছেন।
"অন্যদের খুশি করার জন্য আমি আর নিজেকে দমিয়ে রাখতে চাই না। ভালো মেয়ে হয়ে থাকার দিন শেষ। আমার মনে হয়না কোনো অভিনেতার এই ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়, তারা কোনো উচ্চবাচ্য ছাড়াই নিজেদের প্রাপ্য সব কিছু পায়।"
শীর্ষ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রী লরেন্সের সঙ্গে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতা রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের আয়ের পার্থক্য ৩ কোটি ডলারের বেশি। ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাবে ২০১৪ সালে লরেন্স আয় করেছেন ৫ কোটি ২০ লাখ ডলার, যেখানে‘আয়রন ম্যান’ খ্যাত রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের আয় হয়েছে ৮ কোটি ডলার।