এন্টার্কটিকায় বরফ জমছে: নাসা

এন্টার্কটিকায় যে পরিমাণ বরফ গলছে, তার চেয়ে সেখানে বরফ জমছে বেশি।যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র নতুন এক গবেষণার ফলে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

>>আইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Nov 2015, 05:17 PM
Updated : 3 Nov 2015, 04:06 PM

দেখা গেছে, এন্টার্কটিকায় বরফের স্তর পুরু হচ্ছে। আর এ কারণে বিশ্ব উষ্ণায়নে গলে যাওয়া বরফের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার মত যথেষ্ট বরফ সেখানে জমা থাকছে।

মেরু অঞ্চলে অনবরত বরফ গলে যাওয়া কিংবা দ্রুতহারে হিমবাহ গলে যাওয়া বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়নেরই ক্ষতিকর প্রভাবের স্পষ্ট নজির। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এন্টার্কটিকায় বেশি বরফ জমার বিষয়টি এ বাস্তবতার বিপরীত চিত্র নয়। তবে এ থেকে বোঝা যায়, আগামী কয়েক বছরে নতুন বরফ জমা হয়ে অন্তত এ ক্ষতি পুষিয়ে যেতে পারে।

এন্টার্কটিকার বরফের স্যাটেলাইট উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান। গবেষণায় দেখা যায়, কয়েক দশক ধরে সেখানে বরফ জমেছে। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরে এন্টার্কটিকায় মোট বরফ জমেছে ৮ হাজার ২শ’কোটি টন।

আর এরও আগে ১৯৯২ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরে সেখানে মোট বরফ জমেছে ১১ হাজার ২শ’ কোটি টন।

নাসার নতুন এ গবেষণার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ইন্টারগভমেন্টাল প্যানেলসহ (আইপিসিসি) অন্যান্য গবেষণার বৈপরীত্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যে গবেষণাগুলোতে বলা হচ্ছে, এন্টার্কটিকা সামগ্রিকভাবেই বরফ খোয়াচ্ছে।

তবে নাসা এর ব্যাখ্যায় বলেছে, তারা এন্টার্কটিকার উপদ্বীপ এলাকা এবং পশ্চিম এন্টার্কটিকার পাইন দ্বীপ এলাকায় বরফ গলে যাওয়া সংক্রান্ত গবেষণাগুলোর সঙ্গে একমত। কিন্তু নতুন করে করা গবেষণায় তারা মূলত পূর্ব এন্টার্কটিকা এবং পশ্চিম এন্টার্কটীকার অভ্যন্তরীণ এলাকাগুলোর কথাই বলছে।

“গবেষণায় এই এলাকাগুলোতে অনেক বেশি বরফ জমতে দেখা গেছে, যা অন্যান্য এলাকায় গলে যাওয়া বরফের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে গেছে”, বলেছেন নাসার হিমবাহ বিশেষজ্ঞ জে জাওয়ালি।

তবে বরফ জমে এন্টার্কটিকা তার পুরনো রূপে ফিরে আসতে কয়েক দশক লাগতে পারে বলে জানান তিনি।