রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা কমলো

চলতি অর্থবছরে বস্ত্রখাতসহ পাঁচটি খাতে নগদ সহায়তার হার কমিয়েছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2015, 01:47 PM
Updated : 13 July 2015, 02:48 PM

একইসঙ্গে একটি খাতে নগদ সহায়তার হার বৃদ্ধির পাশাপাশি পাটজাত পণ্য রপ্তানি খাতে একটি নতুন উপখাত যোগ হয়েছে।

সোমবার ২০১৫-১৬ অর্থবছরের নগদ সহায়তার হার ঘোষণা করে সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রপ্তানি উৎসাহিত করতে সরকার ১৪টি খাতে বিভিন্ন হারে নগদ সহায়তা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবমতে, বিদায়ী ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রপ্তানিকারকদের ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা নগদ সহায়তা দিয়েছে সরকার।

সার্কুলার অনুযায়ী, রপ্তানিমুখী দেশি বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র ব্যাকের পরিবর্তে নগদ সহায়তা এবং বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা এক শতাংশ কমিয়ে ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া হাঁড়ের গুড়া রপ্তানিতে নগদ সহায়তার হার ১৫  শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা ১৫ থেকে কমিয়ে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ,  পাটজাত চূড়ান্ত (হেসিয়ান, সেকিং ও সিবিসি) রপ্তানি সহায়তা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পাট সুতা রপ্তানিতে সহায়তার হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে বস্ত্র খাতের নতুন পণ্য বা নতুন বাজার (আমেরিকা, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাদে) সম্প্রসারণ সহায়তা ৩ শতাংশ অপরিবর্তিত রেখেছে সরকার।

এছাড়া হোগলা, খড়, আখের ছোবড়া ইত্যাদি দিয়ে হাতে তৈরি পণ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ, কৃষি পণ্য (শাকসবজি ও ফলমুল) ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ২০ শতাংশ, ১০০ ভাগ হালাল মাংস রপ্তানিতে ২০ শতাংশ, জাহাজ রপ্তানির বিপরীতে ৫ শতাংশ, আলু রপ্তানিতে ২০ শতাংশ পেট বোতল ও ফ্লেক্স রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা অপরিবর্তিত রয়েছে।

নগদ সহায়তার নতুন খাত হিসেবে এবারের তালিকায় বৈচিত্র্যকৃত পাটজাত পণ্য যোগ হয়েছে। এ ধরনের পণ্য রপ্তানির বিপরীতে সরকার ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেবে। তবে এ ধরনের পণ্য রপ্তানি করে নগদ সহায়তা পেতে হলে পণ্যে কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ পাটের ব্যবহার থাকতে হবে।

অপরদিকে, হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা চলতি বছর নির্ধারণ হবে বরফ আচ্ছাদনের ভিত্তিতে। এর আগে এ ধরনের ব্যবস্থা ছিলো না। চিংড়া ও অন্যান্য হিমায়িত মাছ রপ্তানির বিপরীতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা ছিল।

চলতি অর্থবছরে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিতে বরফ আচ্ছাদনের হার ২০ শতাংশ হলে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ, আর বরফ আচ্ছাদনের হার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হলে নগদ সহায়তার হার ৯ শতাংশ, বরফ আচ্ছাদনের হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ হলে নগদ সহায়তার হার ৮ শতাংশ এবং ৪০ শতাংশের বেশি হলে নগদ সহায়তার হার হবে ৭ শতাংশ।

এছাড়া অন্যান্য হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে বরফ আচ্ছাদনের হার ২০ শতাংশ হলে নগদ সহায়তার ৫ শতাংশ, আর বরফ আচ্ছাদনের হার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হলে নগদ সহায়তার হার ৪ শতাংশ, বরফ আচ্ছাদনের হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ হলে নগদ সহায়তার হার ৩ শতাংশ এবং ৪০ শতাংশের বেশি হলে নগদ সহায়তার হার হবে ২ শতাংশ।

আর হালকা প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানিতে নগদ সহায়তা ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার।