গড় মূল্যস্ফীতি ৬.৪১%

সরকার গেল অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতি বাজেটে ঘোষিত লক্ষ্যের মধ্যে বেঁধে রাখতে পারলেও রোজার শুরুতে জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি আগের তুলনায় বেড়েছে।    

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2015, 12:30 PM
Updated : 7 July 2015, 01:09 PM

অর্থবছরের শেষ মাস জুনে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট (মাসওয়ারি) ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, যা মে মাসে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ ছিল।

এর মধ্যে রোজার শুরুতে জুন মাসে খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমকি ৩২ শতাংশ হয়েছে, যা মে মাসে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ ছিল। আর খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি মে মাসের ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ হয়েছে।

সব মিলিয়ে গত অর্থবছরের ১২ মাসে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে যা ৭ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল।

এর আগে ২০১৩-১৪ র্অথবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মঙ্গলবার মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করেন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলনে মূল্যস্ফীতির তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম কম থাকায় গড় মূল্যস্ফীতি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। আঞ্চলিকভাবে যেসব পণ্য আমরা আমদানি করি- যেমন তেল, চিনি, ডালসহ অন্য খাদ্যদ্রব্যের, বিশেষ করে জ্বালানি তেলের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে।”

প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম যেখানে ১৪৭ ডলারে উঠেছিল, সেখানে এখন তা ৪৮ থেকে ৪৯ ডলারে নেমে এসেছে বলে জানান মন্ত্রী।  

গ্রামীণ এলাকায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি মে মাসের ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ হয়েছে। আর শহর এলাকায় ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ হয়েছে।