রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সহিংস রাজনীতিসহ নানা বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি খাতে আয় বেশি হয়েছে।
“তবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।”
লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান।
“পরিমাণে বেশি পণ্য রপ্তানি করেও আয় কম এসেছে। মূলত দুটি কারণে আয় কমেছে। একটি হচ্ছে- আমেরিকাসহ সব দেশের ক্রেতারা পণ্যের দাম কমিয়ে দিয়েছে। আর অন্যটি হচ্ছে- ইউরো এবং রুবলের দরপতনের কারণেও রপ্তানি আয় কম আসছে।”
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তিন হাজার ৩২০ কোটি (৩৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন) ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকেই এসেছে প্রায় ৮২ শতাংশ।
২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩০ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল, যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি।
সর্বশেষ অর্থাৎ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ৩ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা ছিল গত বছরের জুনের চেয়ে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়নও (রিজার্ভ) বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ এন্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান।
সোমবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রেমিটেন্স বেড়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
তবে আমদানি বাড়ায় বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অব পেমেন্ট-বিওপি) ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
গত অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ১ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি (ঋণাত্মক) দেখা দিয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ১ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত ছিল।