বিদেশিদের সম্পদের তথ্য চাইতে পারবে সরকার

বিদেশি নাগরিকদের কাছে থাকা মুদ্রা ও তাদের নিজ দেশে থাকা সম্পত্তির তথ্য চাওয়ার বিধান রেখে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করা হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2015, 09:35 AM
Updated : 6 July 2015, 09:35 AM

সোমবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৫’ উত্থাপন করেন।

বিলটি পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটি পরীক্ষার পর দেড় মাসের মধ্যে সংসদে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেবে।

১৯৪৭ সালের বৈদেশিক মুদ্রা ও সিকিউরিটিজ কেনাবেচা নিয়ন্ত্রণ আইনটি ১৯৭৬ ও ২০০৩ সালে দুদফা সংশোধন করা হয়। বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে আইনটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা না থাকলেও দেশে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা ছিল।

বিলে বলা হয়েছে, এই আইন বাংলাদেশি ও বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য হবে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, “সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে বাংলাদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি ও অন্য দেশের নাগরিকদের হাতে থাকা বিদেশি মুদ্রা বা বৈদেশিক সিকিউরিটিজ সম্পর্কিত তথ্য এবং বিদেশে তাদের স্থাবর বা অন্য সম্পত্তির বিষয়ে তথ্য চাইতে পারবে।”

এই সংশোধনীর মাধ্যমে ‘কারেন্সি’, ‘সিকিউরিটিজ’, ‘এক্সচেঞ্জ’, ‘অ্যাকাউন্ট’, ‘ট্রানজেকশন’, ‘সার্ভিসেস’, ‘ক্যাপিটাল অ্যাকাউন্ট ট্রানজেকশনস’, ‘গুডস’ এসব শব্দের সংজ্ঞাও হালনাগাদ করা হচ্ছে।

বিলের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বৈদেশিক বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসারের প্রেক্ষিতে বৈদেশিক লেনদেনের প্রকার ও আকার এবং নিষ্পত্তির পরিসর অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় আইনটি সংশোধন করা না হলে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অসুবিধার সৃষ্টি হবে এবং যুগোপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ বাধাগ্রস্ত হবে।”

বিলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ‘এজেন্ট’ হিসাবে লাইসেন্স নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হচ্ছে।

বিদেশি প্রতিষ্ঠানের শাখা বা লিয়াজোঁ অফিস স্থাপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানোর নিয়ম আর থাকবে না। বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদন নিয়েই এধরনের অফিস চালু করা যাবে। তবে এক মাসের মধ্যে বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে।