ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদারে আবারও নির্দেশনা

ব্যাংকের সব শাখা ও ভল্টের নিরাপত্তা জোরদার করতে আবারও নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2015, 01:54 PM
Updated : 5 July 2015, 02:22 PM

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে এক সার্কুলার জারি করা হয়।

এতে একগুচ্ছ সতর্কতামুলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে, যাতে ব্যাংকের সব শাখায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, চুরি প্রতিরোধক অ্যালার্ম ও অটো অ্যালার্ম সিস্টেম স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।

এবিষয়ে ২০১২ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত জারি করা পাঁচটি পরিপত্র সংযোজন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করে সমন্বিত আকারে নতুন এই সার্কুলার জারি করা হলো। 

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক শাখার প্রবেশ পথে, ভেতরে ও বাইরের চারপাশে এবং সব আইটি রুমে সিসিটিভি বা আইপি ক্যামেরা বা স্পাই ক্যামেরা রাখতে হবে, যেগুলো ব্যাংকের সেন্ট্রাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এসব সিসিটিভি বা অন্যান্য ক্যামেরা যেন সার্বক্ষণিক সচল থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া ব্যাংকের সব শাখায় পর্যায়ক্রমে অ্যান্টি থেফট অ্যালার্ম স্থাপন করতে হবে।

বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর ভল্ট স্পেস বিশেষভাবে সুরক্ষিত করতে মেঝে ও ছাদসহ ভল্টের চারপাশের দেয়ালের অবকাঠামো নিরাপত্তার বিষয়টি পুর প্রকৌশলী কর্তৃক প্রত্যায়িত হতে হবে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। অন্যান্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে তাদের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত নীতিমালা অনুযায়ী হবে।

ব্যাংকের ভল্টে সার্বক্ষণিক সিকিউরিটি অ্যালার্মের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ভল্টের ভেতরে অটোমেটেড ফায়ার এক্সটিংগুইশার স্থাপনেরও নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ভল্টে সীমাতিরিক্ত নগদ অর্থ যেন সংরক্ষণ করা না হয়, সে বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সার্কুলারে।

একইসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংককে তাদের ভল্টে রাখা অর্থের উপর অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য পৃথক তহবিল গঠন করতে বলা হয়েছে। অন্য সব ব্যাংককেও তাদের ভল্টে রাখা অর্থের পূর্ণ বিমার আওতায় আনতে হবে।

নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের আগে তাদের বিষয়ে সব তথ্য সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করতে হবে। অধিকসংখ্যক সশস্ত্র নিরাপত্তা প্রহরীর ব্যবস্থা করতে হবে।

সব শাখায় অটো অ্যালার্ম সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে। ওই অ্যালার্ম সিস্টেমে সংশ্লিস্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, নিকটবর্তী থানা ও র‌্যাব অফিসসহ ১০টি গুরুত্বপূর্ণ নম্বরের হটলাইন সংযোগ থাকবে।

ব্যাংকের শাখার চারপাশে বসবাসকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে তাও সংরক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সার্কুলারে।

কয়েক বছর ধরে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে। সর্বশেষ বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের সাভারের একটি শাখায় একদল সশস্ত্র ডাকাত অর্থ লুটের চেষ্টা করে। এতে ওই ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকসহ আটজন নিহত হন।

সোনালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখা থেকে প্রথমে ১৬ কোটি টাকা ডাকাতি করে একটি দল। একই ব্যাংকের বগুড়া শাখা থেকে চুরি যায় ৩২ লাখ টাকা। এছাড়া জনতা, ব্র্যাক, ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে টাকা চুরিরও ঘটনা ঘটেছে।