তবে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যে সহায়তা পেয়ে আসছিল, তা আরও কয়েক বছর পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
বিশ্ব ব্যাংক বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে বাংলাদেশ এখন নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ। বাংলাদেশের বার্ষিক মাথাপিছু আয় এখন ১ হাজার ৩১৪ ডলার।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ভুটানের অর্থমন্ত্রী লিয়েনপো নামগে দরজির সঙ্গে বৈঠকের পর সচিবালয়ে মুহিতের কাছে বিশ্ব ব্যাংকের স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা।
তিনি বলেন, “এটা তো আমার কাছে খুব খুশি লাগার কথা, আমরা তাদের কাছে বলিও নাই তোমরা রি-কনসিডার কর এই মুহূর্তে, তারা করে ফেলেছে।”
তবে নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিটি জাতিসংঘের কাছ থেকে আসবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
“ওটা নেওয়ার একটা প্রসেস আছে ইউএন এ, সেটা তারা শুরু করবে কিছু দিন পরে, সেটা আবার তিন বছরের মতো লাগবে, তারপর জাজমেন্ট দেবে।”
“কিন্তু ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থেকে দেওয়া ইজ ভেরি ইমপোর্টেন্ট, আফটার অল টাকা পয়সার তো সোর্স ওই দিকে, ইউএন তো টাকা দেয় না,” বলেন তিনি।
বিশ্ব ব্যাংকের ঘোষণায় কি সুবিধা হল বাংলাদেশের- জানতে চাইলে মুহিত বলেন, “সুবিধা হল, এটি আমাদের একটি স্যাটিসফেকশন, আমরা লিস্ট ডেভলপড ফর ফরটি ইয়ার্স, এটা থেকে আমাদের একটি প্রমোশন হল। এতে আমাদের আত্মগরিমা বাড়ে, তার প্রমাণ আমরা নিজেরাই দিচ্ছি।”
সেক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে এত দিন পেয়ে আসা সুবিধাগুলো চলে যাবে কি না- এই প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এলডিসি সুবিধা উইথড্র করতে আরও অনেকদিন সময় লাগবে, ইট শুড বি রাফলি থ্রি টু ফোর ইয়ার্স।
“ইউএন সিডিপি কমিটির ফাইনাল ডিসিশন ২০১৮-১৯ এর আগে আসবে না। এজন্য কোনো অসুবিধা হবে না, শেষ হতেও আরও চার বছর লাগবে।”
“অনেক কিছুই সাহায্যের প্রয়োজন হয় না, অনেক কিছু নিজেরাই করছি। এখন সাহায্য তো ওয়ান পয়েন্ট এইট পার্সেন্ট গ্রোস ডমিসটিক প্রডাক্টের, আমি আগে যখন মন্ত্রী ছিলাম, তখন ছিল ৮ পার্সেন্ট,” সেই সঙ্গে বলেন তিনি।
ভুটানের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “তারা ভারতে হাইড্রো পাওয়ার রপ্তানি করছে, আমরাও তাদের কাছে এটি চাচ্ছি। ট্রান্সমিশন লাইন ফাইনাল হয়েছে, নেপাল ইন্ডিয়া টু বাংলাদেশ ভায়া ভুটান হয়ে আসবে।”