এর আগে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৪ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছিল। এই হিসেবে এবার ১০৭ কোটি ডলার বা ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি রেমিটেন্স দেশে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান বৃহস্পতিবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ১৪২ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
“একক মাসের হিসাবে এই অর্থ গত অর্থবছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং এ যাবৎকালের তৃতীয় সর্বোচ্চ।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্স সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৪৯ কোটি ২৫ লাখ ডলারের রেমিটেন্স দেশে আসে। একক মাসের হিসাবে সেটাই বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স।
এছাড়া বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হার ‘স্থিতিশীল’ থাকার বিষয়টিও এতে ভূমিকা রেখেছে বলে জানান তিনি।
এর আগে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছিল।
রিজার্ভ ২৫ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার
রেমিটেন্স বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়নও (রিজার্ভ) বেড়েছে। বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার।
দিন শেষে এর পরিমাণ আরও বাড়বে বলে ছাইদুর রহমান জানান।
গত ২৬ জুন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলারের ‘কোঠা’ অতিক্রম করে।