এমআইসিআর চেকেও জালিয়াতি

জালিয়াতি ঠেকাতে ম্যাগনেটিক ইঙ্ক ক্যারেকটার রিকগনিশন(এমআইসিআর) চেক চালু করেও রেহাই মিলছে না।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2015, 05:53 PM
Updated : 30 June 2015, 07:51 AM

সম্প্রতি এই ধরনের কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার পর এমআইসিআর চেক জালিয়াতির ঘটনার সংখ্যা জানতে চেয়ে ব্যাংকগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

একইসঙ্গে জালিয়াতি রোধে করণীয় বিষয়েও পরামর্শ বা প্রস্তাবও চাওয়া হয়েছ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সম্প্রতি পাঠানো এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সব ব্যাংক এখনও তথ্য পাঠিয়ে শেষ করতে পারেনি। ইতোমধ্যে ৩০টি ব্যাংক তথ্য পাঠিয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি ব্যাংক চেক জালিয়াতির তথ্য পাঠিয়েছে। ১৭টি ব্যাংক জানিয়েছে, তাদের ব্যাংকে চেক জালিয়াতির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

সবচেয়ে বেশি জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে বিদেশি একটি ব্যাংকে। ওই ব্যাংকে মোট ১৮টি চেক জালিয়াতির ঘটনা রয়েছে। বাংলাদেশি বেসরকারি একটি ব্যাংকে ১৬টি চেক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে।

এসব জালিয়াতির মধ্যে ব্যাংকগুলো থেকে গ্রাহকের নামে ইস্যুকৃত মূল চেক বই বা অন্যান্য ইনস্ট্রুমেন্ট অক্ষত বা অব্যবহৃত থাকা অবস্থায় ব্যাংক থেকে ক্লিয়ারিংয়ে বা নগদে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনাই বেশি।

সাধারণ চেক নিয়ে জালিয়াতি হয় বলে এমআইসিআর নামের এই নতুন চেক চালু করায় গ্রাহকের খরচ বেড়েছে। কারণ ব্যাংক বছরে একটি চেক বই গ্রাহককে ফ্রি দেয়। আবার কোনো কোনো ব্যাংক তাও দেয় না।   

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমআইসিআর চেককে নিরাপদ বলা হলেও অনেক ক্ষেত্রে জালিয়াত চক্রের কাছে হেরে যাচ্ছে।

তারা বলেন, বাজারে এমন কিছু পদার্থ পাওয়া যায় যা দিয়ে চেকের অনেক প্রিন্ট করা তথ্য তুলে নতুন করে প্রিন্ট করা যায়। ফলে জালিয়াতরা জালিয়াতি করে পার পেয়ে যাচ্ছে।

এজন্য চেক প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সতর্কতা ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যোগ করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশে বেসরকারি তিনটি ও সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান চেক প্রস্তুত করে থাকে। এগুলো হচ্ছে নেট ওয়ার্ল্ড, জাপান বাংলাদেশ প্রিন্টিং কর্পোরেশন, সেকুরা প্রিন্টিং ও বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রিন্টিং কর্পোরেশন।