দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা (সাসেক) প্রকল্পের রেল সংযোগের অধীনে আখাউড়া-লাকসাম দ্বৈত রেল লাইন (ডাবল ট্র্যাক) নির্মাণ প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
বর্তমান বিনিময় হার (১ ডলারে ৭৮ টাকা ধরে) অনুযায়ী এই ঋণের পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা।
রোববার এ বিষয়ে এডিবি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়।
চুক্তি সই করে ইআরডির জ্যেষ্ঠ সচিব সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল পথের আখাউড়া-লাকসাম অংশের ৭২ কিলোমিটার নতুন দ্বৈত রেললাইন নির্মাণ ও বিদ্যমান লাইনটির পুনর্বাসন করা হবে। ১১টি রেল স্টেশনে আধুনিক সিগন্যালিং সিস্টেম চালু করা হবে।
“সরকার প্রতিবেশী দুই দেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে চায়।”
এ প্রকল্পটিতে মোট ব্যয় হবে ৮৩ কোটি ৭১ লাখ ডলার। এডিবির ৫০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বাইরে ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেবে। বাকি অর্থ সরকারের নিজস্ব তহিবল থেকে সরবরাহ করা হবে।
এডিবির ঋণের অর্থের মধ্যে ৪০ কোটি ডলার অর্ডিনারি ক্যাপিটাল রিসোর্স (ওসিআর) বা কিছুটা চড়া সুদের ঋণ। এ ঋণের জন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জের সঙ্গে লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেট (লাইবর) চার্জ প্রযোজ্য হবে।
বর্তমানে বাৎসরিক লাইবর সুদের হার দশমিক ৭৭ শতাংশ। সবমিলে এ ঋণের জন্য প্রায় ৩ শতাংশের কাছাকাছি সুদ দিতে হবে।
বাকি ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার এডিএফ বা তুলনামুলক সহজ শর্তের ঋণ। এ ঋণের জন্য সব মিলিয়ে ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।
দুই ধরনের ঋণই ৫ বছরের রেয়াতকালসহ ২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে।
এ প্রকল্পটি সাসেক কর্মসূচির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। আখাউড়া-লাকসাম রেল লাইন দ্বৈত রেল লাইন (মিটারগেজ ও ব্রডগেজ) নির্মিত হলে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে। বিশেষ করে মালামাল পরিবহণ ও ভ্রমণ সময় কমে আসার পাশাপাশি নির্বিঘ্ন রেলযোগাযোগ নিশ্চিত হবে। ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।