শুক্রবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তেন বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য কমলেও আমরা এখন পযন্ত অ্যাডজাস্টমেন্ট করিনি। আমাদের বিপিসির যথেষ্ট ঋণ আছে। এটা একটা জঞ্জালের মতো হয়ে গিয়েছিল। আশা করছি, সেই ঋণ তারা মোটামুটিভাবে সমাধান করে ফেলছে।
“আমরা সামনের মাস থেকে প্রক্রিয়াটা শুরু করব- কীভাবে এটাকে রেশনালাইজ করা যায়। এ বাজেটের ধাক্কা শেষ হওয়ার পর আমরা চেষ্টা করব- কিভাবে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়।
“আমাদের লাস্ট ডিসিশন ছিল ইন্টারন্যাশনাল প্রাইসের সাথে আমাদের প্রাইসের একটা ডিফারেন্স লেবেল মেইনটেইন করব।”
সর্বশেষ ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বাড়ানো হয়েছিল জ্বালানি তেলের দাম। সেবার পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ৭ টাকা করে বাড়ানো হয়।
এর পর বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেশ কমে গেলেও জ্বালানি তেলে দেওয়া বিশাল ভর্তুকির লোকসান পুষিয়ে নিতে এতোদিন দাম কমায়নি সরকার। গত ছয় মাস ধরে লাভের পথে রয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।
২০১৪ সালের নভেম্বরের পর থেকে জ্বালানি তেলে সরকারের কোনো লোকসান হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিপিসির চেয়ারম্যান এ এম বদরুদ্দোজা।