সরকারের ব্যাংকঋণে তারল্য সঙ্কট হবে না: আতিউর

প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণগ্রহণের লক্ষ্যমাত্রার পুরোটা সরকার নিয়ে নিলেও বাজারে কোনো তারল্য সঙ্কট হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2015, 02:50 PM
Updated : 5 June 2015, 02:50 PM

শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ আশ্বাস দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য প্রায় তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

প্রস্তাবিত এই বাজেটে ৮৬ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা ঘাটতি ধরে এর মধ্যে ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা ব্যাংকিং খাত থেকে ‘ধার’ করে মেটাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন মন্ত্রী।

ব্যাংক থেকে সরকার বড় অংকের ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমে গিয়ে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না-অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক।

অর্থমন্ত্রী নিজে উত্তর না দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে বলেন।

আতিউর বলেন, “সরকার প্রতিবারই বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। চলতি বাজেটে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে বেশি ঋণ পাওয়ায় ব্যাংক খাত থেকে তেমন ঋণ নিতে হয়নি।

“বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে পর্যাপ্ত তারল্য রয়েছে। কলমানি রেট দেখলেই সেটা বোঝা যায়। ফলে ট্রেজারি বন্ডের মাধ্যমে সরকার কিছু ঋণ নিলে তা বাজারে বিশেষ প্রভাব ফেলবে না। এমনকি সুদ হারও প্রভাবিত হবে না।

“এছাড়া ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে আমরা বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছি।”

এ অবস্থায় সরকার বাজেটে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নেওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে, তার পুরোটা নিলেও বাজারে কোনো তারল্য সঙ্কট হবে না বলে জোর দিয়ে বলেন

চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতি পূরণে সরকার ব্যাংক থেকে ৩১ হাজার ২২১ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র থেকে ৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরে।

সঞ্চয়পত্র থেকে নিলেও সর্বশেষ হিসাবে সরকার ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ নেয়নি।

জুলাই-এপ্রিল সময়ে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ২৪ হাজার ১৪১ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।