শুক্রবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মোবাইল ফোনের সেবায় ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের যুক্তি তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, “মোবাইল টক টাইমের উপর একটি কর ধার্য করেছি। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, বিভিন্ন দেশে হয়। আমাদের এই সেক্টরে অনেক গ্রোথ। আমার মনে হয়, এটা তারা দিতে পারবেন বলে সেই বিশ্বাসেই করেছি।”
এই শুল্ক আরোপের ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহকদের ব্যয় বাড়লে তা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার সরকারের লক্ষ্যে প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চান সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল ফোনের সেবায় ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এর ফলে মোবাইলে কথা বলা ও ডেটা স্থানান্তরের ব্যয় বাড়তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে মোবাইল অপারেটররা।
এর মধ্যে গ্রামীণফোন গ্রাহকদের এসএমএস করে বলেছে, “মোবাইল ফোন ব্যবহারে ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যা আপনাদের সকল ধরনের মোবাইল ব্যবহারের উপর প্রযোজ্য হবে।”
সিমের শুল্ক হার কমানোর ও সিমকার্ড প্রতিস্থাপনের শুল্কহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও সেবার উপর কর বাড়ানোর প্রস্তাবকে ‘তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও এ খাতে সার্বিক অগ্রযাত্রার অন্তরায়’ হিসেবে দেখছে মোবাইল ফোন অপারেটররা।
অপারেটরদের বক্তব্য, বর্তমানে কথা বলায় ও ডেটা স্থানান্তরে গ্রাহকরা ১০০ টাকার ব্যয় করলে ১৫ টাকা ভ্যাট দিতে হয়। এ প্রস্তাব কার্যকর হলে সঙ্গে আরও ৫ টাকা যোগ হবে। এছাড়া এক শতাংশ সারচার্জ যোগ করে ১০০ টাকার মোবাইল ফোন ব্যবহারে গ্রাহককে মোট ২১ টাকা বেশি খরচ করতে হবে।
এর ফলে কথা বলার প্রবণতা কমে গেলে অপারেটরদের আয়ও কমে যাবে বলে দাবি করছে তারা।
গত ৩০ মার্চ মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপর ১ শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপের বিধান রেখে নতুন একটি আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
জাতীয় সংসদে এই আইন পাস হলে মোবাইল কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে যে বিল নিচ্ছে, তার সঙ্গে এই ১ শতাংশ সারচার্জ যোগ হবে।
বিটিআরসির হিসাবে, গত এপ্রিল মাস নাগাদ বাংলাদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৪৭ লাখের বেশি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৪ কোটি ৪২ লাখের বেশি।