বাজেট: সাধারণের ভাবনায় শুধু দ্রব্যমূল্য

নতুন অর্থ-বছরের জন্য প্রায় তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব হলেও তা নিয়ে ততোটা আগ্রহ দেখা যায়নি সাধারণ মানুষের মাঝে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2015, 07:17 PM
Updated : 4 June 2015, 07:17 PM

তবে নতুন বাজেটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনশীল রাখার পাশাপাশি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের স্বার্থ যাতে রক্ষা হয় সে প্রত্যাশা জানিয়েছেন অনেকে। 

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ২ লাখ ৯৫ হাজার একশ’ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট প্রস্তাব করেন।

কয়েক দফা বিরতি নিয়ে মন্ত্রীর বাজেট বক্তব্য চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার কর্মজীবী, গৃহিণী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের কাছে বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়।

এমদাদুল হক নামের নিটল-নিলয় গ্রুপের একজন বিপণন কর্মকর্তা বলেন, “টেলিভিশনে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা দেখার সুযোগ হয়নি। রাতে বাসায় গিয়ে দেখার চেষ্টা করব।”

কেমন বাজেট চান জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে থাকবে- এ রকম একটা বাজেট হওয়াই ভালো। দ্রব্যমূল্য, জিনিসপত্রের দাম যাতে সবার আওতার মধ্যে থাকে, নিম্ন শ্রেণির লোকজন যাতে আগাইতে পারে।”

গৃহিণী অর্চনা সেন বলেন, এবার বাজেটের দিকে তেমন দৃষ্টি দেওয়ার সুযোগ হয়নি তার। তবে সবার জন্য সুবিধাজনক বাজেট হলে তিনি খুশি হবেন।

বাজেট বক্তৃতার কিছুটা শোনার সুযোগ হয়েছে বলে জানান চা বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারের বাজেটেও কিছু জিনিসের দাম বেড়েছে। আবার অনেক জিনিসের দাম কমেছে।

“তবে বাজেটে আসলে গরীবের জন্য তেমন কিছু করা হয় না। গরীব মানুষকে মারার একটা ব্যবস্থা এটা।”

কেমন বাজেট চান-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যদি কমায় রাখতে পারে তাইলে সেটাই হবে মানুষের জন্য সুবিধাজনক বাজেট।”

মোবাইলে অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ-এর কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সহনশীল রেখে নতুন বাজেট আসলে তা হবে ধনী-গরীব সবার জন্য কল্যাণকর। চাল-ডাল, তরি-তরকারির দাম কমাতে হবে।”

মহাখালীতে সিঙ্গার ইলেকট্রনিক্সের একটি বিপণন কেন্দ্রের কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, “বাজেট সম্পর্কে আমার তেমন আইডিয়া নেই। অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে যে বাজেট দিচ্ছেন তাও খেয়াল করা হয়নি।”

বাজেটকে ‘একটি রাজনৈতিক বিষয়’ বলে এ নিয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন ওয়ালটনের একজন বিক্রয় কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, “বাজেট একটি রাজনৈতিক বিষয়, এ নিয়ে আমার কথা বলায় কিছু বিধি-নিষেধ আছে।”