পদ্মায় সর্বোচ্চ ধরে যোগাযোগে বরাদ্দ ২৬,৩২৯ কোটি টাকা

একক প্রকল্প হিসেবে নতুন বাজেটে পদ্মা সেতুর জন্য সবচেয়ে বড় অঙ্ক রেখে যোগাযোগ ও পরিবহন খাতে ২৬ হাজার ৩২৯ কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2015, 04:58 PM
Updated : 5 June 2015, 01:31 PM

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে পদ্মা সেতুসহ সড়ক-সেতু অবকাঠামো উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন, রেলপথ উন্নয়ন, যানজট নিরসনসহ বন্দর ও নৌ-পথ উন্নয়নে এ বরাদ্দ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “আশা করছি, ২০১৮ সালে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারব।”

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত ও অন্যতম ব্যয়বহুল প্রকল্প পদ্মা সেতুর জন্য এই বাজেটে প্রস্তাবিত ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে প্রায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকায় দাঁড়াচ্ছে।

বাজেট বক্তৃতায় মুহিত বলেন, “নিজস্ব অর্থায়নে বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ অনেক দূর এগিয়েছে। প্রমত্ত পদ্মার দুই তীরে বাঁধ নির্মাণের কর্মযজ্ঞে ওই অঞ্চলের মানুষের জীবনে শুরু হয়েছে কর্মচাঞ্চল্য।”

এছাড়া সড়ক-সেতু অবকাঠোমো উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে ৬১টি সেতু পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ অবস্থানে ২য় পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা আছে।

যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে ৩০০টি দ্বিতল ও ১০০টি আর্টিকুলেটেট বাস সংগ্রহ করা এবং বিভিন্ন পরিবহনের সমন্বয়ে ই-টিকেটিং ক্লিয়ারিং হাউজ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

রেলপথ উন্নয়নে ২০ বছর মেয়াদি মাস্টার প্লানের আওতায় ২৩৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নে দুই লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ‘আখাউড়া-আগরতলা’ রেল কানেকটিভিটি স্থাপন করতে যাচ্ছি।”

বক্তৃতায় যানজট নিরসনে মেট্রো রেলসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে একটি চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি তৈরি হলে যানজট হ্রাস পাবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণের প্রস্তুতি পর্বে নিজস্ব অর্থায়নে বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

খান জাহান আলী বিমানবন্দর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিমানের যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা ও সেবার মান বাড়াতে বিমান বহরে নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ সংযোজনের প্রক্রিয়া চলমান আছে।

“যোগাযোগ অবকাঠামোয় আমি মোট ২৬ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি,” বলেন অর্থমন্ত্রী।