বাজেট: ৩৮ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণের লক্ষ্য

আগামী অর্থবছরের জন্য তিন লক্ষ কোটি টাকার যে বাজেট দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী, তাতে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2015, 01:55 PM
Updated : 4 June 2015, 01:55 PM

এই অঙ্ক জিডিপির ২ দশমিক ২ শতাংশ বলে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।

২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক ঋণের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তা গত অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ৭ হাজার ৩০২ কোটি এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৬ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা বেশি।

ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের অর্থ বেশি নেওয়ার লক্ষ্য দেখে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন শিল্পোদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, বিনিয়োগ কমে গেলে তার প্রভাব পড়বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও।  

বাজেট প্রস্তাবের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসেন খালেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকার ব্যাংক থেকে ৩৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার যে লক্ষ্য ঠিক করেছে, তাতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।”

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ ৮৬ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ।

“এই ঘাটতি মেটাতে সরকার দেশীয় উৎস থেকে ৫৬ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা ঋণ নেবে, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। আর বিদেশি উৎস থেকে ৩০ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা নেওয়া হবে, যা জিডিপির ১ দশমিক ৮ শতাংশ।”

দেশীয় উৎস থেকে নেওয়া ৫৬ হাজার ৫২৩ কোটি টাকার মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। বাকি ১৮ হাজার কোটি টাকা সরকার জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্প ও ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে নেওয়া হবে।

চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৪৩ হাজার ২৭৭ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, যা সংশোধিত বাজেটে বাড়িয়ে ৫৪ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা করা হয়।

সরকারের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার বিরোধিতা করে শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সুদ হারও বেড়ে যায়।