তবে কর বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানির। এছাড়া মোবাইল ফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর অপবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জন্য উত্থাপিত বাজেটে এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহার ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর করহার আগের মতই ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ রাখা হয়েছে।
এছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে আগের মতই ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে বলে জানান তিনি।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যারা এরই মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তাদের করহার আগের চেয়ে কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। তাদের করহার ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো এতদিন ৪০ শতাংশ হারে কর দিয়ে এলেও আগামী অর্থবছরের বাজেটে তাদের করহার ৪৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন মুহিত।
তালিকাভুক্ত নয় এমন সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো ৪৫ শতাংশ হারেই কর দিয়ে আসছে।
বর্তমানে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর করপোরেট করহার ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ। মোবাইল ফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর করহার ৪৫ শতাংশ। তবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে এতদিন এই হারের ওপর ৫ শতাংশ রেয়াত পেয়ে আসছেন তারা।
এর বাইরের অন্যান্য কোম্পানিগুলোর করহার ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
এতদিন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে কর দিতে হতো ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।
অবশ্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েও ২০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দিলে আরও ১০ শতাংশ বেশি অর্থ্যাৎ ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কর দিতে হতো।